Poet Khushi Sarkar has written the awareness Bengali poem Rog Nirnoy (Diagnosis).
'রোগ নির্ণয়' সচেতনতামূলক বাংলা কবিতাটি লিখেছেন কবি খুশী সরকার।
কবিতার মূলভাব - সমাজের আজ ভীষণ অসুখ। নানান রোগে আক্রান্ত। রোগাক্রান্ত হওয়ার পর আমরা রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করি কিন্তু রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে যদি সঠিক সুস্থ থাকার জন্য নিয়ম মেনে চলি তাহলে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আজ সামাজিক ক্ষেত্রে যে সমস্ত রোগ অর্থাৎ মনুষ্যত্বহীন ক্রিয়াকলাপ, লোভ, লালসা, সন্তানের বেপরোয়া মনোভাব,ঈর্ষ্যা, হিংসা ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে তার কারণ গোড়ায়।এই গোড়া হচ্ছে বাবা-মা। প্রত্যেক বাবা-মা যদি শিশু বয়স থেকেই সন্তানের সুপ্ত মানবিক গুণাবলীর যথোপযুক্ত পরিস্ফুটন করতে পারে তবেই সে সন্তান ভবিষ্যতে সচেতন মানবিকগুণ সম্পন্ন নাগরিকে পরিণত হবে।এই প্রসঙ্গেই 'রোগ নির্ণয়'কবিতাটির অবতারণা।
The essence of the poem -
The great disease of society today. Infected with various diseases. After getting infected, we take measures to prevent the disease, but if we follow the rules for proper health before getting infected, we are less likely to get infected. The causes of all the diseases that are prevalent in the social sphere today, namely, inhuman activities, greed, lust, reckless attitude of the child, jealousy, violence, etc., are at the root. This is the beginning of parents. If every parent can properly nurture the latent human qualities of the child from an early age, then that child will become a conscious human being in the future. In this context, the incarnation of the poem Rog Nirnoy 'Diagnosis'.
কবিতা - রোগ নির্ণয়
কলমে - খুশী সরকার
কি করে আসবে বদল চেতনায়, মননে?
কি করে বন্ধ হবে খুন? ধর্ষণ?
হয়তো বা আরও বেড়ে যাবে দিন দিন।
নিরাপত্তাহীন জীবনে আতঙ্কের কালো ছাপ,
বিড়ম্বিত জীবন যেন ক্ষয়প্রাপ্ত ঘাটশিলা,
অশ্রু বন্যায় ভাসছে উজ্জ্বল সবুজ স্বপ্ন।
এর জন্য দায়ী আমরা, শুধুই আমরা।
জন্মের উৎস,অভিভাবকত্বের দাবিদার সিংহভাগে।
বিন্দুতে বিন্দুতেই সৃষ্টি অতল পারাবার,
একদিনে নয়, দীর্ঘায়তনে রসদ আজ ঘনীভূত,
হ্যাঁ আমাদের,আমাদেরই ফলে বিষবৃক্ষ।
নীতিহীন আচার, অভ্যস্ত আচার-আচরণ,
শখ বিলাসী যাপন, আধুনিকতার অজুহাত,
উচশৃঙ্খল আবদারের প্রশ্রয়দাতা আমরা।
বিচিত্র শিক্ষার রঙ মাখানো পল্লবগ্রাহিতা,
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করীর বিষাক্ত মাদকতা,
নেশাসক্ত জনক-জননী আত্মমুখী সচেতন।
শিক্ষার সৌখিনতা আমাদের প্রতি অঙ্গে,
দামি দামি প্রসাধনীর ঝলমলে পারিপাট্য,
ছিন্নশৈলীর শৈল্পিক পোশাকের আভিজাত্য।
সংখ্যাতিরিক্ত টিউশনের অহং, আতম্ভরিতা,
উদ্দেশ্যের গভীরে প্রোথিত উপলক্ষ্যের শিকড়।
সান্ত্বনায় সন্তান মানুষ হচ্ছে তো অনেক খানি,
নিজের খেয়ালে আছে চাকরি, ব্যবসাখানি,
আর কি চাই? মানুষ তো হবেই জানি।
অভাবের ভাব নেই, পুস্তকের ছড়াছড়ি।
প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে সবার সেরায়
টিউশনির চাপে নেই নীতি শিক্ষার বালাই।
স্নেহের ধন সন্তানে ভালোবাসি না বুঝি?
আজ স্নেহ,শাসনে নেই হাত ধরাধরি,
অন্যায় আগাছা উঁকি মারে ফাটলে,
হ্যাঁ,মানুষের সন্তান মানুষই হচ্ছে ভাই।
শৈশব কাঁদে আজ বই এর বড্ড ব্যাগে
শ্রদ্ধা, ভক্তি,ভালোবাসা উঠে গেছে কবে!
শিক্ষা,শালিনতা, সুস্থ সৌন্দর্য্য,সংস্কৃতি,
স্মৃতিতে ধরে রাখে মূর্ত পিতা-মাতার ছবি
কৌতুহলী চোখে শিশু আঁকে সেই হবি,
অনুকরণপ্রিয় শৈশবের অনুকরণীয় সব-ই।
নিত্য চাক্ষুষ করে বাবা-মার বৃত্তি, ব্যবহার,
মালার মতো গেঁথে রাখে মগজে তার,
দোষ কার? নিজেকে প্রশ্ন করি একবার।
শ্রদ্ধা,ভক্তি ছাড়া শিক্ষায় দর কি শুধু?
মাতৃভাবে নারীকে মানতে বলিই নি কভু,
জানাই নি সহোদরীর মত দেখো অন্যকেও।
শৈশব শিক্ষাই গড়ে ভবিষ্যৎ চরিত্র ইমারত,
অথচ গোঁড়ায় গলদে রত্নখচিত কারুকার্য!
আত্মদম্ভী অসংযমী খেয়ালীপনায় আমরা
ঈপ্সিত লোভ-লালসা নিবৃত্তির ভ্রান্ত পথিক।
তিলে তিলে তলিয়ে গেছে কুবৃত্তির গভীরে
আজ তারে ফিরাবে কেমন করে?
উদগ্র কামনায় মনে জ্বলছে কামের আগুন,
দোষ তার নয়, দোষী আত্মস্বার্থী ফাগুন।
হয়তো বা সঙ্গ দোষ কিছু, কিংম্বা সমাজ,
কিন্তু সেও তো ব্যষ্টির সমষ্টিতে আমি।
তাই মূর্ত আচরিত আচরণের সঠিক শিক্ষায়
নিশ্চিত, খুন,ধর্ষণ কমে যাবে অনেক খানি।
Awareness Poem Rog Nirnoy written by Khushi Sarkar.
Date : 08-12-2019
No comments:
Post a Comment