'বোধোদয়' ছোট গল্পটি লিখেছেন প্রিয় লেখিকা খুশী সরকার। 'Badhoday' is a short story written by Favorite Writer Khushi Sarkar.
In Relation to Poetry: Nobody knows when the feeling arises in people's mind. So many times people are enemies rather than friends. In the story, fairytale was created instead of the friendship of first boy Shyamal with the help of naughty boy Rahim. But when Shyamal hospital bed hungry due to lack of blood, naughty boy Rahim wakes up in the minds of friendship. So, with the rise of friendship, he suddenly saved his friend 'Shyamal' by using his own blood.
Actually the theme of the story is that there is no hostility, friendship is a precious asset in life.
কবিতা প্রসঙ্গেঃ- মানুষের মনে কখন বোধের উদয় হয় কেউ জানে না। তাই অনেক সময় মানুষ মানুষকে বন্ধুর পরিবর্তে শত্রু ভাবে। গল্পে ক্লাসের ফার্স্ট বয় শ্যামলের সঙ্গে দুষ্টু ছেলে রহিমের বন্ধুত্বের পরিবর্তে তৈরি হয়েছিল শত্রুতা, কিন্তু যখন শ্যামল হাসপাতালের শয্যায় রক্তের অভাবে মরণাপন্ন তখন দুষ্টু ছেলে রহিমের মনে জেগে উঠে বন্ধুত্বের টান, তাই বন্ধুত্ববোধের উদয়ে সে অকস্মাৎ শ্যামলকে বাঁচায় নিজের রক্ত দিয়ে। আসলে গল্পের প্রতিপাদ্য বিষয়টি হলো শত্রুতা নয় বন্ধুত্বই জীবনের অমূল্য সম্পদ।
ছোট গল্প 'বোধোদয়'
খুশী সরকার
শ্যামল চটপট ব্যাগ পিঠে নিয়ে সাইকেল বের করল। সাইকেলে উঠতে উঠতেই বলল, মা আসি। সাইকেল চালিয়ে সোজা দাঁড়ালো সঞ্জয়ের বাড়ির দরজায়। সাইকেলে পা রেখেই ডাকলো, শ্যামল হয়েছে? বেরিয়ে এল সঞ্জয়, দুজনে রওনা হল স্কুলের অভিমুখে। গ্রামের কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে উঠল পাকা রাস্তায়। একটু এগোতেই শ্যামল বললো, ঐ দেখ সঞ্জয়, রহিম যাচ্ছে। একটু দাঁড়াতে বল।
-----না, দরকার নেই। জানিস না, কি বলতে কি বলবে কে জানে?
-----আচ্ছা, ঠিক আছে। জানিস না, আজকাল দেখছিস ও কেমন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। কিছু একটা বললেই কেমন ট্যারা ট্যারা উত্তর দেয়। শ্যামল মাথা ঝুকিয়ে সমর্থন করে বলে, তাড়াতাড়ি চল্ তো, দশটা বেজে গেছে। ওর কথা ছাড় ওসব ছেলেদের সঙ্গে না মেশাই ভালো। ওর মাথায় শুধু দুষ্টু বুদ্ধি কাজ করে। কিছু বললেও শুনতে চায় না। চল্ চল্ তাড়াতাড়ি।
শ্যামল ক্লাসের ফার্স্টবয়। সব সময় প্রথম বেঞ্চে বসে।
সঞ্জয় অতটা পড়াশোনায় ভালো নয় তবু ওদের বন্ধুত্ব গভীর দুজনে একসঙ্গে প্রাইভেট পড়ে, মাঠে খেলতে যায় স্কুলেও একসঙ্গে আসে। সঞ্জয় বসে সেকেন্ড বেঞ্চে। রহিম পড়াশোনা তো করেই না বরং সব সময় ক্লাসে দুষ্টামি করে এই জন্যই বসে লাস্ট বেঞ্চে, একটু বেপরোয়া, কোনো শিক্ষক ক্লাশে থাকলেও পিছনে বসে সবসময় পাশের বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটি মারে ওরা দুজনে ক্লাশে ঢুকেই দেখল রহিম পিছনের বেঞ্চে বসেছে। ওর পাশে বসেছে দীপক। এক পিরিয়ডের পর হঠাৎ দুজনে মারপিট। ক্লাসের সবাই হো হো করে উঠল।
----অ্যাই রহিম, তুই প্রতিদিন কারো না কারো সাথেই মারপিট করিস কেন রে? বলে সুমিতা তাদের মারপিট ছাড়াতে গেল। রহিম দীপককে একটা ঘুসি মারতে গিয়ে সেই ঘুসি লাগল সুমিতার গালে। সুমিতা তো বলে বসে পড়লো। সঙ্গে সঙ্গে গালটা ফুলে গেল। রেগে রহিমকে বলল, দাঁড়া, প্রতিদিন মারপিট করবি আর ছাড়াতে গেলে মার খেতে হবে।
-----রহিম ঝাঁজিয়ে ওঠে চিৎকার করে বলল, আমরা মারামারি করছিলাম তোর কি? তোকে কে আসতে বলেছিল? যেমন মাতব্বরি মারতে আসবি, তেমনি মার খাবি।
------তুই প্রতিদিন ক্লাসে সবার পড়ার ব্যাঘাত ঘটাবি আর আমরা চুপ করে থাকব।
------রহিম সঙ্গে সঙ্গে মুখ ভেঙ্গিয়ে বলল, ওরে আমার পড়ুয়া রে, তোর পড়ায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছি তো কোন্ মাস্টারকে বলবি তো বল্? -----নুরবানু ওদের কাছে এসে বলে, চুপ করবি? ওই দেখ অংকের মাস্টার মশাই আসছেন। প্রতিদিন এইভাবে রহিম বসার জায়গা নিয়ে কারো না কারো সাথে ঝগড়া করে, কখনো মারামারিও করে, ক্লাসের তাই সবাই ওকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করে। সবচেয়ে রহিমের চক্ষুশূল শ্যামল। শ্যামলকে সব স্যার ভালোবাসে। প্রতিদিন ক্লাসে পড়া করে, সবাই প্রশংসা করে। এটা রহিমের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শ্যামল কিছু বললেই বলে, তুই ভালো ছেলে আমাদের সঙ্গে মিশতে আসবি না, খারাপ হয়ে যাবি না ।মুখ বেঁকিয়ে বলে, প্রধান শিক্ষকের আদরের দুলাল, স্কুলের সুনাম রাখবি, দীপকের দিকে তাকিয়ে চোখ মিটমিট করে ব্যঙ্গ করে বলে, দীপক, আমরা তো গোবর গণেশ, আমাদের কিছু হবে না, তাই না? একটু বদমাইশি করেই না হয় স্কুল জীবনটা কাটিয়ে দিলাম, এভাবেও তো কিছুদিন সবার মনে থাকা যায়, তাই না?
দীপক মুচকি হেসে বলে, হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিক বুঝেছিস। রহিমের পিঠে একটা আদুরে থাপ্পর মেরে বলে, চালিয়ে যা। আমরা তো কয়জন তোর সঙ্গে আছি তো! আরো যেন সাহস পায় রহিম। দিনের পর দিন ওর বদমাইশির মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
ভাদ্র মাস। চিটপিটানি গরম। গাছের পাতা নড়ে না। একদিন ক্লাসে সবাই বসে আছে। ওদের ক্লাসে তিনটি ফ্যান। একটি অনেকদিন ধরে খারাপ। হঠাৎ ওর মাথায় দুষ্টুবুদ্ধি চাপলো। ওর পাশেই বসেছিল আনসার, তখন ক্লাস ফাঁকা। টিচার নেই।
-----রহিম আনসারকে বলল, অ্যায়, ফ্যান'টার নিচে দাঁড়াতো।
----কেন ?
--- তুই দাঁড়া না। আনসার দেখলো ওর সঙ্গে পারা যাবে না। দাঁড়ালো ফ্যানটার নিচে। রহিম বলল, তুই বস্ হাঁটু জড়ো করে।
-----কি বলিস?
---আরে বস না, আনসার বসতেই রহিম লাফিয়ে ওর ঘাড়ে চেপেই দাড়ালো, সবাই তো অবাক! দাঁড়িয়ে খারাপ ফ্যানটার ব্লেডগুলো দুইহাতে মুচরে বেঁকিয়ে দিল।
----সবাই সাহস করে বলে উঠলো, ফ্যানের ব্লেড গুলো ভেঙে দিলি? হেডমাস্টার জানতে পারলে দেখিস, কেমন সাজা দেয়!
----রহিম চেঁচিয়ে বলে উঠল, ওটা যখন চলবেই না তখন হেডমাস্টার বুঝুক মজা।
পরের দিন হেড মাস্টারমশাই ক্লাসে এলেন পিছনে চুপ করে বসে ছিল রহিম, মাস্টারমশাই রহিমকে আড়চোখে দেখলেন কিন্তু কিছু না বলেই ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাবার সময় হঠাৎ চোখ পড়ল ফ্যানের মুচরানো ব্লেডগুলোর দিকে। কি ব্যাপার? এটা কে করল? কেউ কিছু বলে না। সবাই দাঁড়াও। বলো, এ কাজ কে করলো?
মাস্টারমশাই বললেন, কি বলবে না? ঠিক আছে, এর শাস্তি সবাইকে পেতে হবে।
----তখন মাথা নিচু করে পেছনে বসে ছিল সামাদ। রহিমকে দেখিয়ে বলে উঠলো, আমরা করিনি ,ওই যে ও করেছে।
সামাদের দিকে চোখ পাকিয়ে দৃঢ় কন্ঠে বলে, হ্যাঁ স্যার, আমি করেছি।
-----কেন?
-----ওটা চলছিল না, অনেকদিন ধরে খারাপ ছিল তাই ভেঙে ফেলেছি।
-----তোমার এত বড় সাহস স্কুলের জিনিস ভাঙচুর করো! আগামীকাল তোমার বাবাকে নিয়ে চলে আসবে।
-----ঠিক আছে, আসবো। পরের দিন যথারীতি বাবাকে সঙ্গে নিয়ে রহিম এল এবং ক্ষমা চেয়ে সেদিনের মত মিটমাট হয়ে গেল ঘটনাটা, কয়েক দিন চললো ভালোভাবে কিন্তু শুরু হলো আবার সেই দুষ্টামী।
-----হঠাৎ একদিন সঞ্জয় ক্লাসে ঢুকেই সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল একটা খারাপ খবর আছে, সবাই তো আতঙ্কে বলে উঠলো, কি খবর? কার কি হয়েছে? জানিস, গতকাল শ্যামল ওর বাবার মোটর বাইক নিয়ে টিউশনে যেতে একসিডেন্ট করেছে, একটা বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে পড়ে যায় রাস্তায়, তার উপর মাথায় হেলমেট ছিল না ফলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল রাস্তায়। পরে পাশের লোকজন এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এখন অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। সবাই কেমন বিষন্ন হয়ে পড়ল।
----হঠাৎ দীপক বলে উঠল, চল, আমরা আজকে দেখে আসি। বিকেলে বন্ধুরা মিলে তখন ভিজিটিং আউয়ারে গিয়ে দেখে, শ্যামলের মাথায় ব্যান্ডেজ, অচৈতন্য হয়ে শুয়ে আছে। পাশে মা সুনিতা সমানে কেঁদে চলেছে।
-----দীপক কাছে গিয়ে বলল, ডাক্তার দেখেছে কাকিমা? ঠিক আছে তো? ওষুধ কেনা হয়েছে?
-----হ্যাঁ বাবা, চোখের জল মুছতে মুছতে বলে আমার অত বড় ভালো ছেলে, পড়া ছাড়া কিছু কোনদিন বোঝেনি সারাক্ষণ পড়াশোনা নিয়ে থাকে, আজকে দেখো কেমন অবস্থায় পড়ে আছে। আমার কপালে যে কী আছে?
----দীপক বলল, আপনি কিছু ভাববেন না, ওর কিছু হবে না, ও ভালো হয়ে যাবে। আজকে আসি বলেই চলে যায় ওরা। সবার মুখে মুখে শ্যামলের কথা কিন্তু রহিম মনে মনে ভাবে, দেখো কেমন মজা! ভালো রেজাল্ট করবে, কর এবার।
-----দীপক বলে রহিমকে কাল আমরা গিয়েছিলাম শ্যামলকে দেখতে, তুই যাবি না?
-----ধুর! কি যে বলিস? আমি যাব ওকে দেখতে, কক্ষনো না।
-----আরে চল্ চল্ ও আমাদের বন্ধু তো। আচ্ছা দেখ, তুই পড়াশোনা করিস না তাই ওকে দেখতে পারিস না কিন্তু ওকি তোর সঙ্গে কোনদিন খারাপ ব্যবহার করেছে, বরং তুই শ্যামলকে হিংসে করিস। সে যাক, এখন ও অসুস্থ যেভাবে ওর মাথাটা ফেটে রক্ত বের হয়ে গেছে তাতে যে কি হবে বলা মুশকিল। আবার অনুরোধের স্বরে বলে, আজ বিকেলে চল্ না।
আমি একা যাবো আচ্ছা তুমি না হয় বাইরে থাকবি আমি ভিতরে গিয়ে দেখে আসবো অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর রহিম বলে, ঠিক আছে যাবো কিন্তু আমি বাইরেই থাকবো, যদি রাজি থাকিস তাহলে যেতে পারি ঠিক আছে। ভিজিটিং আওয়ারে তারা হাসপাতালে গেল। রহিম দাঁড়িয়ে রইল বাইরে। দীপক এগিয়ে যেতেই দেখতে পেল শ্যামলের বাবা হন্ হন্ করে অস্থির ভাবে বাইরে বেরিয়ে আসছে।
দীপক সামনে গিয়ে বললো কাকু, এভাবে কোথায় যাচ্ছেন? চোখ তুলে দীপকের দিকে তাকাতেই উনি কেঁদে উঠলেন, বাবা তোমরা এসেছো, ছেলেটাকে বোধহয় আর বাঁচাতে পারলাম না। ভীতকন্ঠে দীপক বলল, কেন কি হয়েছে?
------ওর শরীরে রক্ত লাগবে। ডাক্তার বললেন এক্ষুনি দরকার কিন্তু কোথাও রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না বাবা, কি যে করি, ভেবে পাচ্ছি না। ------কোন রক্তের গ্রুপ? জানতে চাই দীপক। আচ্ছা এবার ফোনটা করে আসি, তোমারা শ্যামলের কাছে যাও। দীপককে দেখে শ্যামলের মা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো, আর আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে পারলাম না বাবা। কেমন যেন একটা আন্তরিক টান অনুভব করলে দীপক। বিষণ্নতা তাকে গ্রাস করে ফেলল। বুঝতে পারছে না এখন কি তার করা উচিত। সত্যিই কি শ্যামল রক্ত না পেয়ে মারা যাবে।
শ্যামলের অমায়িক ব্যবহারের কথা সবই যেন ছবি হয়ে যা চোখের সামনে ভাসতে লাগলো চোখে জল মুছতে মুছতে দীপক বাইরে এসে দেখে রহিম পাশের দোকানে চা খাচ্ছে। চা এর শেষ চুমুক দিয়ে পয়সা বের করে দোকানদারকে দিয়ে দেখল দীপক তার দিকেই এগিয়ে আসছে এবং সঙ্গে সঙ্গে বলল চল আর দেরী নয়।
----কোনো উত্তর না দিয়ে দীপক মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল।
----কিরে যাবিনা? ----ভেজা চোখে রহিমের দিকে তাকিয়ে দীপক বলল, শ্যামলকে আর বাঁচানো গেল না রে, ওর বাবা বাড়িতে ফোন করতে গেছে, ওর এখন রক্তের প্রয়োজন, এখনই রক্ত দিতে না পারলে সে হয়তো রাতেই মারা যাবে।
বিদ্যুতের মতো চমকে উঠল রহিম। একবার দেখে আসি, চল্। দুজনে শ্যামলের কাছে গিয়ে দেখে, ডাক্তার দাঁড়িয়ে দেখছিলেন শ্যামলের হার্ট বিট। ডাক্তারবাবুকে উদ্দেশ্য করে আচমকা বলে উঠলো রহিম, ডাক্তার বাবু আমার রক্তটা একবার টেষ্ট করে দেখবেন। আমি তো জানি না আমার রক্তের গ্রুপ কি?
ডাক্তারবাবু আশ্বস্ত হয়ে বললেন, চলো তো দেখি। সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি ঘরে রহিমকে শুইয়ে তার রক্ত নিয়ে টেস্ট করতে গেলেন।
ডাক্তারবাবু এসে শ্যামলের মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন। কাঁদবেন না, কাঁদবেন না, আর ভয় নেই, রক্ত মিলে গেছে বলতে বলতে কিছুক্ষন পরে দ্রুতপদে শ্যামলের শয্যার পাশে এসে ডাক্তারবাবু তার উল্টো দিকে শূন্য বিছানাতে রহিম শুইয়ে দিয়ে বললেন, ঈশ্বর সহায়, এ ছেলেটি না এলে ওকে কোনো মতেই বাঁচানো যেত না। এক বিছানায় রহিম, তার পাশের বিছানায় শ্যামল। রক্ত যেতে লাগলো শ্যামলের শরীরে। এইভাবে দু বোতল রক্ত দিল রহিম।
----ডাক্তার বললেন তুমি কিছুক্ষণ শুয়ে থাকো অনেকটা রক্ত দিয়েছো রহিম।
----ও হাসি মুখে বলল, ঠিক আছে। ডাক্তার বাবু আমার কিছু হবে না, তবে আমার আনন্দ হচ্ছে যে আমার বন্ধুর জন্য আমি কিছু করতে পারলাম।
----দীপক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল রহিমকে, এ যেন এক অন্য রহিম, সে দেখতে পেলো রহিমের চোখে মুখে আনন্দ উপচে পড়ছে।
------রহিম আপন মনেই বলতে লাগলো, কারো জন্য কিছু করতে পারলে যে এতটা আনন্দ হয় এই প্রথম আমি তা বুঝতে পারলাম। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল দীপকের কাছে। কান্না ভেজা চোখে তাকাল তার দিকে, বুক ভেঙে বেরিয়ে আসছিল বেদনা, দীপককে দুই হাতে চেপে ধরে বলল "আমি তোর কাছে কৃতজ্ঞ"।
No comments:
Post a Comment