A Real Man Making by the Role of School and a Brief Discussion About the Purpose of Education
A Real Man Making by the Role of School and a Brief Discussion About the Purpose of Education.
খাঁটি মানুষ তৈরিতে স্কুলের ভূমিকা এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা:
বর্তমান সমাজে ক্রমবর্ধমান চাহিদার জোগান দিতে মানুষ বিবেকের গলাটিপে লোভ লালসার শিকার হচ্ছে। প্রকৃত মনুষ্যত্ব হারিয়ে সে পরিণত হচ্ছে পশুতে এবং মানুষের অবয়ব থাকলেও তার কার্যকলাপে পশুত্বের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশী। এর মূলে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিলেবাস নির্ভর পড়াশোনার জন্য সেখানে মনুষ্যত্বের বিকাশ উপযোগী পঠন-পাঠন সব ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না ফলে শিক্ষাকে ভারবাহী পশুর মত আমরা বহন করে চলেছি কিন্তু তাকে আত্মস্থ করে চরিত্র নির্মাণে প্রয়োগ করছি না কিংবা আচার- আচরণে বা ব্যবহারে সেই শিক্ষাকে কাজে লাগাচ্ছি না। ফলে খাঁটি মানুষ তৈরি হচ্ছে না। আর যতক্ষণ না দেশের অধিকাংশ মানুষ খাঁটি হচ্ছে ততক্ষণ সেই দেশের সার্বিক উন্নতিও সম্ভব নয়। তাই আসুন আমরাই শিক্ষায়তনে সেই খাঁটি মানুষ তৈরীর চেষ্টা করি এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলি।
স্কুল মনুষ্যত্ববোধের এবং মানবিক বৈশিষ্ট্য বিকাশের উপযুক্ত ক্ষেত্র। মানুষ যখন শিশু অবস্থায় জন্ম নেয় তখন তার মধ্যে তার সহজাত মানবিক বৈশিষ্ট্য গুলি সুপ্ত অবস্থায় থাকে। সেই সুপ্ত মানবিক বৈশিষ্ট্য গুলি উপযুক্ত এবং স্বতস্ফূর্ত বিকাশের মধ্য দিয়েই সে ভবিষ্যতে একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে। শিশু শৈশবে থাকে সহজ-সরল অনুকরণপ্রিয় এবং স্মৃতিধর।এই অবস্থায় সে যা শুনে, দেখে তাকে সে ধ্রুব সত্য মনে করে গ্রহণ করে এবং ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। তার অসীম আগ্রহ এবং চেষ্টাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্দীপ্ত করে শিক্ষক-শিক্ষিকা,তাদের স্বভাব, আচার-আচরণ এবং ব্যবহারের দ্বারা।
শৈশব হচ্ছে চরিত্র গঠন এবং মানবিক বৈশিষ্ট্য বিকাশের উপযুক্ত সময় । আর এই সময়েই শিশুকে ভর্তি করা হয় স্কুলে। সেখানে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী থাকে। অনেক ছাত্রছাত্রীর সহাবস্থানে সে মেলামেশার সুযোগ পায় ফলে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং এই বন্ধুত্বের মধ্যেই তৈরি হয় ভালোবাসা। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে হার্দিক সম্পর্ক যেমন গড়ে তেমনি বন্ধুর বিপদে পাশে থাকবার ইচ্ছারও বাস্তব প্রয়োগ করে। শুধু তাই নয় ইস্কলে পাশের যেমন আনন্দ আছে তেমনি ফেলের জন্য দুঃখও আছে। এই পাশ-ফেলকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মেনে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জিত হয় এই ইস্কুলেই। ধীরে ধীরে শিশুর মধ্যে বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হতে থাকে।
এছাড়া স্কুলে খেলাধুলার মাধ্যমে যেমন নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, সংযম, পারস্পরিক সহনশীলতা, ধৈর্য এবং একসঙ্গে খেলার মাধ্যমে ঐক্যতার মাধ্যমে চারিত্রিক গুণাবলী গড়ে ওঠে। এর মধ্যেই সে ভবিষ্যতে নিজেকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর ক্ষমতা অর্জন করে ফলে এই চারিত্রিক গুণাবলী তার ভবিষ্যৎ জীবনের বন্ধুর পথে পাথেয় হয় এবং তাকে ভবিষ্যতে একজন সুস্থ সবল মানুষে পরিণত করে।
স্কুলে একদিকে যেমন পুঁথিগত বিদ্যার মাধ্যমে বিদ্যার্জন এবং ডিগ্রি লাভে ক্রমশ উচ্চশিক্ষা লাভের উপযুক্ত করে তোলে অন্যদিকে তেমনি তার চরিত্র এবং শরীর চর্চার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে চরিত্রবান, সুস্থ এবং নীরোগ করে। শুধু তাই নয় গড়ে ওঠে সৌহার্দ্য, মৈত্রী এবং ভ্রাতৃত্ববোধ, জাতীয়তাবোধ ও জাতীয়তাবাদ এবং আন্তর্জাতিকতাবোধ। এভাবেই ইস্কলে যেমন ভবিষ্যতের লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ঘটে তেমনি অন্যদিকে বাহ্যিক আচার-আচরণ এবং চারিত্রিক গুনাবলী গ্রহণ করে প্রকৃত মানুষ হওয়ার সুযোগ পায় শিশু।
একজন মানুষের প্রাথমিক পরিচয় তার সৌজন্য ও শিষ্টাচার। সৌজন্য ও শিষ্টাচারে সে প্রথম শিক্ষা লাভ করে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের আচার-ব্যবহার, সৌজন্য ও শিষ্টাচার প্রত্যক্ষ করে এবং নিজের চরিত্রে প্রয়োগ করবার সুযোগ পায় ফলে প্রকৃত মানুষ হওয়ার পথে আরো সুদৃঢ় ও মনুষ্যত্ব অর্জন করে হয়ে ওঠে প্রকৃত মানুষ।
No comments:
Post a Comment