নিয়তির খেলা বাংলা আধুনিক কবিতাটি লিখছেন, কবি খুশী সরকার।
Niyatir Khela (The Play of destiny) is written in Bengali modern poem by poet Khushi Sarkar.
When people try to fulfill their coveted desire, fate, as a slave of destiny, fail to fulfill it, he can not think of anything except a doll of destiny. Many others are so fierce in action. Sense of enthusiasm relieves on the destiny and becomes unemployed. At the end, in the tragedy of life, the person becomes immersed in haughtiness and believes in the fate of destiny himself.
মানুষ নিজেকে নিয়তির দাস মনে করে ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষ, তার ঈপ্সিত আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণ করতে সচেষ্ট হয়েও যখন ব্যর্থ হয়, তখন সে নিজেকে নিয়তির পুতুল ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারে না। অনেকে আবার কর্মভীরু। উৎসাহ-উদ্দীপনা হারিয়ে নিয়তির উপর ভরসা করে বসে থাকে কর্মহীন হয়ে। আলস্যে কাটাই দিন। শেষে বিপর্যস্ত জীবনে হা- হুতাশে ডুবে যায় এবং নিজেকে নিয়তির পুতুল ভেবে নিয়তিবাদে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
নিয়তির খেলা
খুশী সরকার
নিয়তি নিয়ে জন্মায় মানুষ
আজীবন খেলার সাথী।
তারই হাতে জন্ম মৃত্যু লেখা
আনন্দ বিষাদে নিয়তি।
সুখ পিয়াসী মন ভাবে না কখনো
দুঃখ পিছে আছে।
কুমোরের চাকার মতন ঘোরে
সুখ আসে না কাছে।
যতই উড়ুক ঘুড়ি উঁচুতে
লাটাই-এ বাঁধা সুতো।
মানুষের জীবনও তেমনি বাঁধা
মানুষ পুতুলের মত।
কত সাধে মন করে প্রাণপণ
খ্যাতি যশের আশা।
নিয়তির একটু ভ্রুকুটিতেই তা
হতে পারে নিরাশা।
আদরে সোহাগে ইচ্ছে গুলো সব
খুশির আলো মেখে,
করে নাচানাচি হেসে কুটিপাটি
সুখের স্বপ্ন দেখে।
অহংকারে আত্মহারা অসংযমী মন
দোদুল কলেবরে হেঁটে,
ভালো-মন্দ অন্যায়-অবিচারে ডুবে
নিয়তিকে ফেলে ছেঁটে।
কিন্তু হায়! চুপিসারে এসে সে
অজান্তেই বসে কখন?
বিস্মৃত মনকে হ্যাঁচকা টেনে
জাগিয়ে দেয় তখন।
কখনো বা নিয়তির বাহু জড়িয়ে
আলিঙ্গনে আবদ্ধ মন।
আবেগের স্রোতে ধর্ম-কর্ম সকলই
সঁপে নিশ্চিন্তে মগন।
কর্মহীন অনুৎসাহে নিয়তির ক্রর হাসি
ঝড়ের তাণ্ডবে এলোমেলো।
অজ্ঞান অবুজ দিশাহীন কান্ডারী
হা-হুতাশে বলে, 'সব গেল'।
নিয়তির হাতের পুতুল মোরা
তার ইশারাতেই চলি
অজানা সেই অমোঘ শক্তির
কোলেই শেষে ঢলি।।
No comments:
Post a Comment