Swapner Uran (Flight of Dreams) Short Story by Khushi Sarkar.
Category - Short Story
Story Title - Swapner Uran (Flight of Dreams)
In the pen - Khushi Sarkar
The Swapner Uran (Flight of Dreams) short story is written by writer Khushi Sarkar.
স্বপ্নের উড়ান ছোট গল্পটি লিখেছেন লেখিকা খুশী সরকার।
বিভাগ - ছোট গল্প,
গল্পের নাম - স্বপ্নের উড়ান,
লেখিকা - খুশী সরকার,
"স্বপ্ন সবারই থাকে তাই বলে স্বপ্নে বিভোর হয়ে উড়ে বেড়াতে হবে? আমি বাপের জন্মেও শুনিনি বাবা,স্বপ্ন পূরণে মাতৃত্বও ফিকে হয়ে যাবে। এ কোন্ দিনকাল পড়লো?" আপন মনে গজগজ করছে শ্যামলী এমন সময় বাজারের ব্যাগ নিয়ে অমলকে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে উঠে জিজ্ঞেস করে শ্যামলি,"কি ব্যাপার এত তাড়াতাড়ি বাজার থেকে চলে আসলে যে?"
"বাজার হয়ে গেল।" এবার বলো, তোমার কি ব্যাপার এত গজ করছ যে?
"করব না তো কি করব? "এই কাজ ছাড়া আমার করার কি বা আছে বলতে পারো? আচ্ছা তুমি আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো, "কোনো মেয়ের বিয়ের পক্ষে কুড়ি বছর বয়স কি সত্যিই কম?"
"এর উত্তর কিন্তু এক কথায় দেওয়া সম্ভব নয়, বুঝলে?"
"যাব্বাবা, একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছ না?"
"না, পারছি না কারণ বিয়ের মেন্টালিটি একই বয়সে সবার সমান আসে না। কেউ এর কম বয়সেও মেন্টাল প্রিপ্যায়ার্ড হতে পারে, আবার কেউ এর থেকে বেশি বয়সেও মেন্টাল প্রিপারেশন নিতে পারে না।
"তবে?"
"তবে কি?" তোমার মেয়ে হয়তো সেই বয়সে মেন্টাল প্রিপারেশন নিতে পারেনি।
"কিন্তু মাতৃত্বের কি কোনো টান নেই?"
"হয়তো আছে." কিন্তু তার স্বপ্নের কাছে হার মেনেছে তা। তাই স্বপ্ন বড় হয়ে তার চোখে রঙিন জগতের ডাককে অস্বীকার করতে পারেনি।
"তবে আমি বলে রাখলাম, এর জন্য ওকে একদিন অনুতপ্ত হতে হবে।"
"সে ও সময়ে ঠিক সামলে নেবে।"
"দেখাই যাবে।"
"আরে ছাড়ো ওসব কথা।" আজকালকার মেয়ে ও, ঠিক খেয়াল আছে তার। এবার ধরো বাজারের ব্যাগ টা। তাড়াতাড়ি। রান্না করো। আমাকে অফিসে যেতে হবে।" রাগান্বিত স্বরে বলে অমল। শ্যামলের কথায় একপ্রকার বিরক্ত হয়েই শ্যামলীও ছিনিয়ে নেই বাজারের ব্যাগটা অমলের হাত থেকে।
হঠাৎ বেজে ওঠে মোবাইল। রান্না করতে করতেই শ্যামলী বেরিয়ে এসে ফোন ধরে বলে, "হ্যালো" ওপার থেকে ভেসে আসে, "তাড়াতাড়ি এসো তো মা, আমার কাজে যেতে হবে। বাচ্চাটাকে ধরার লোক নেই।"
শ্যামলী তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাটাকে একবার খাইয়ে দিয়ে শাশুড়ির কাছে দিলেই তো রাগ হয় না তার কিন্তু তা না, উঠবে ঠিক যাবার মুহূর্তে, আর হুড়মুড় করে বেরিয়ে যাবে বাচ্চাটাকে ওভাবে রেখেই। এভাবে কি বাচ্চা মানুষ করা যায়! শুধু কি তাই,বাসি ঘর, বিছানা রেখেই বেরিয়ে যায় নাকি রোজ। একই কথা শুনতে শুনতে কান পচে গেল তার কিন্তু এর প্রতিকার কি,কিছুই বুঝতে পারে না শ্যামলী। অথচ তারও তো একটা স্বপ্ন ছিল।হ্যাঁ, হয়তো তার মত এত উচ্চ আকাশে ওড়ার স্বপ্ন ছিল না ছিল বাস্তবের মাটিতে পা রেখেই স্বামী সন্তান নিয়ে শান্তিপূর্ণ একটা জীবন। শ্যামলীর চোখে ভেসে ওঠে সেই দিন - মেয়েটা স্কুলে যাবে। শীতের সকাল। কিছুতেই ঘুম ভাঙছে না তার। জোর করে আদর দিয়ে তুলে বাইরে এনে ঘুরে ঘুরে তার ঘুম ভাঙায়। দাঁতে ব্রাশ করিয়ে একটুখানি খাওয়ানোর চেষ্টা করে। টিফিন তৈরি করতে করতেই চলে আসে স্কুল ভ্যান। অতি দ্রুত সাজিয়ে গুছিয়ে বই পত্রের ব্যাগে টিফিন দিয়ে তাকে পাঠিয়ে দেয় স্কুলে। এই ছিল তার রোজকার রুটিন। তার জন্য যত ক্লান্তিই থাক আর শরীর অসুস্থই থাক তাকে উঠতে হতো সাত তাড়াতাড়ি কারণ তার জানা ছিল, উঠতে একটু দেরি হলেই মেয়েকে পাঠাতে পারবে না স্কুলে আর নিজেও ধরতে পারবে না ঠিক সময়ে লাইন বাস। তার কর্তব্যে সে ছিল অত্যন্ত সজাগ অথচ মেয়েটা উল্টো। দায়িত্ব ও কর্তব্যজ্ঞান এতটুকু নেই। পরমুখাপেক্ষী জীবন নিয়ে স্বচ্ছন্দে ভাসছে উড়ন্ত ডানা মেলে। সে তো সন্তানকে উপযুক্ত ভাবে মানুষ করার চেষ্টা করেছে। চাকরি করেও যতটা পেরেছে সাধ্যমত স্নেহ ভালোবাসা দিয়েছে অথচ তার মেয়ে!
ভাবতে ভাবতে তলিয়ে যায় শ্যামলী।
"আরে এত কি ভাবছো? যাও তাড়াতাড়ি, রেগে যাবে তো-"অমলের কথায় বর্তমানে ফিরে আসে শ্যামলী। কোনোমতে শাড়ি গায়ে জড়িয়ে বেরিয়ে যায় নাতির কাছে। নাতিকে দেখে বড় মায়া হয় তার। সত্যিই এমন ফুটফুটে সন্তান মা-বাবা হারা হয়ে মানুষ হচ্ছে অনাথের মত। যদিও ঠাকুর্দা ঠাম্মা, দিদা দাদু সবাই ভালবাসে প্রাণ দিয়ে। তবুও বাবা-মা'র ভালবাসার কি বিকল্প আছে? দুজনেই ব্যস্ত আপনাপন কর্মীর জগতে স্বপ্নের বাস্তবায়নে অথচ ওই কচি বাচ্চাটা বাবা-মার আদর স্নেহ পেতে ব্যাকুল দৃষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে সারাদিন। নাতিকে কোলে নিয়ে উদাসিন শ্যামলী মুখ রাখে জানলায়।ভাবে, "সত্যি কি স্বপ্নের কাছে হার মেনেছে অপত্যস্নেহ!" "হয়তো তাই! "দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মেনে নেয় নিজেই। নাতির করুন মুখটার দিকে তাকিয়ে শ্যামলি আবার ডুব দেয় ভাবনায়। অনেকটা দেরী হয়ে গেছে তার। তাড়াতাড়ি খেতে বসেছে। মেয়ের স্কুল বন্ধ থাকায় সেদিন খেলছিল তার সামনেই। হঠাৎ নাকে আসে পায়খানার গন্ধ। সবে দেড় বছর বয়স।অমনি প্যান্ট খুলতেই দেখে পাছা ভর্তি পটি। মেখে গেছে দুই পায়ে।
আর কি করা-অগত্যা খাওয়া ছেড়ে আগে পরিস্কার করে মেয়েকে। তারপর বাকি খাওয়া খেয়ে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যায় স্কুলের উদ্দেশ্যে। মনে মনে ভাবে সন্তানকে বুঝি আপন হাতে লালন করেছে বলেই মেয়ের প্রতি তার এত ভালোবাসা। আর হয়তো এই কারণেই তার জেদ তিরস্কার বা অপমান সব মেনে নিতে পারে মুখ বুজে। অথচ তার মেয়ে নিজ হাতে সন্তানের পটি কিংবা প্রস্রাব তেমনভাবে কিছুই ছোঁয় না আজও। হ্যাঁ স্নেহ আছে মাতৃত্ব আছে কিন্তু তা যেন মেঘলা দিনের রোদের মতো ম্যারমেরে। নিজ অভিজ্ঞতায় মাতৃত্বের যে ধারণা তার জন্মেছে তা তো নিছক মিথ্যে নয়। মা নিজ হাতে সন্তানের নাওয়া খাওয়া, প্রস্রাব পায়খানা-যাবতীয় দায়িত্ব যত পালন করবে ততই তার প্রতি গভীর অপত্যস্নেহে ডুবে যাবে। সন্তান তো এমনই! যার সান্নিধ্য পাবার জন্য কত বাবা-মা সারা জীবন ব্যাকুল প্রার্থনা করেও এই আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়।
অনুভবে শ্যামলী বুঝতে পারে হয়তো এই আত্মিক যোগ ব্যতিরেকে সারাদিন কাজের পরেও সন্তানের কাছে ছুটে না এসে দেওয়া যায় বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা কিংবা যাওয়া যায় খেতে কোনো রেস্টুরেন্টে ? কিংবা সারাদিন পর ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়ার সময়ও থাকা যায় সন্তানের বিপরীতমুখে মোবাইলের ব্যস্ততায়।
কলিংবেলের আওয়াজে সম্বিত ফিরে শ্যামলীর। মেয়ে এসেছে দেখে শ্যামলি ফিরে আসে নিজের ঘরে, কিন্তু ভাবনা তার মগজে অনর্গল ভিড় করে। বলতে না পারার অব্যক্ত যন্ত্রনায় ছটফট করে ভেতরে ভেতরে।
মাঝে মাঝে তার মনে হয় এতসব গভীর ভাবনা হয়তো ভাবেও না তার মেয়ে। আধুনিক মানসিকতার মুখোশে কোনো আঁচড় কাটতে পারে না এই নিম্নমধ্যবর্ত্তীয় আবেগ। বিশ্বায়নের যুগে মাতৃত্বের চেয়ে আত্মস্বার্থী প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ঈগলের ডানায় ভর করাই যুক্তিযুক্ত।তাই বুঝি হারিয়ে যেতে বসেছে মাতৃত্বের মাধুর্য।
দীর্ঘ পনের বছর পার হয়ে গিয়েছে। শ্যামলী এখন চোখে ঝাপসা দেখে। মেয়ের কাছে আর যাওয়া হয়ে ওঠে না তবু মাঝে মাঝে ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা হয় তার নাতি থাকে এখন বিদেশে। ডাক্তারি পড়ছে সে। মেয়ে জামাই প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার। দু'জনেই ছেলেকে টাকা পাঠায় কিন্তু মেয়ে একদিন আফসোস করে বলে,"মা জানো, ছেলে ডাক্তার হলো ঠিকই কিন্তু আমাদের মধ্যে যেন কোথাও একটা ফাঁক রয়ে গেছে। টাকার প্রয়োজনে ফোন করে। এমনিতে খুব একটা করে না আর করলেও যেন কথার মধ্যে আত্মিক বন্ধনের ছোঁয়া থাকে না। কেমন একটা দায় সারা ভাব তার কথায় ফুটে ওঠে। মেয়ের কথায় যেন একটা লুকানো বেদনা অনুভব করে শ্যামলী। মনে মনে ভাবে,"এই তো হওয়ারই ছিল। সন্তানের জন্ম দেওয়া যত সহজ, মা হয়ে ওঠা তত সহজ নয়। শ্যামলীর মনে ভেসে ওঠে কত কথা! দু-আড়াই বছরের ছোট্ট শিবু মা'কে কাছে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে করতে একসময় ঘুমিয়ে পড়তো কিন্তু মায়ের সঙ্গে দেখা হতো অনেক রাতে। সে তখন ঘুমে কাতর। মা আসত, পাশে সুতো কিন্তু সকালে চোখ খোলার পরে দেখতো মা রেডি হচ্ছে তার কাজে যাওয়ার জন্য।
নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে এমনই স্বপ্নে বিভোর ছিল, সন্তানের চাওয়া পাওয়ার দিকে নজর দেবার সময়ই ছিল না তার। ছোট্টবেলা থেকে মাতৃস্নেহের যে বন্ধন গড়ে ওঠে তা যেমন সোনার মত খাঁটি, ঠিক তেমনি প্রয়োজনের তাগিদে বন্ধন ফসকা গেরোর মত আলগা। ছোট্টবেলা তুমি তাকে আদর দিতে কৃপণতা করেছো, ভেবেছিলে নিজের প্রতিষ্ঠাতেই একটা পূর্ণাঙ্গ সংসারের তৃপ্তি লাভ করবে। তাই যদি হতো তবে আজকে তোমার কন্ঠে এই বেদনা ঝরে পড়ছে কেন?
দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘরে গিয়ে বসে শ্যামলের কাছে শ্যামলের শরীরটা আজকাল ভালো যাচ্ছে না। প্রায় এটা সেটা লেগেই আছে। হঠাৎ বেজে ওঠে শ্যামলীর মোবাইল।
"কার ফোন? "চমকে উঠে ফোনটা ধরে শ্যামলি। "হ্যালো" বলতেই ওপার থেকে ভেসে আসে মেয়ের "মা" ডাক। এই ডাকের মধ্যে শ্যামলী যেন উদ্বেগ অনুভব করে।
"কিরে কি হলো,তোর গলাটা কাঁপছে কেন?"
মা,আজ একটা বড় বিপদ থেকে অমিত একটুর জন্য বেঁচে গেছে। ফারাক্কা থেকে আসার সময় হঠাৎ উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাক অমিতের গাড়িটাকে সামান্য ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যায়। ড্রাইভার খুব ভালো ছিল বলে হঠাৎ ব্রেক কষে সামলে নেয় তবে তার হাতে পায়ে একটু আঘাত লেগেছে। খবরটা শুনে এখনো আমার হাত পা কাঁপছে মা।"
"ইস! ঈশ্বর সহায়। একটা ফারা কেটে গেল রে। সাবধানে গাড়ি চালাতে বলিস, ড্রাইভারকে। রাস্তাঘাটে এত ব্যস্ততা মানুষের, কারো এক মিনিট দাঁড়ানোর ধৈর্য্য নেই। ঠাকুরকে স্মরণ করে চলিস বাবা। আর ব্যথার জন্য ওষুধ খেতে বলিস।"
শ্যামলীর মনে নানান চিন্তা ভিড় করে। মনে মনে ভাবে মানুষের জীবনে কখন্ যে কোন্ ঝড় আসবে, কেউ তা জানে না। তাই সব সময় নীতি নিয়ম মেনে চলতে হয়। সামাজিক কিছু অনুশাসনও মানতে হয়। যা দীর্ঘদিন ধরে গভীর বিশ্বাসে মানুষ মেনে এসেছে, তাকে এক মুহূর্তে কি অবিশ্বাস্য বলে অমান্য করা যায়! দিনকাল যতই বদলাক, মানসিকতাও বদলাক কিন্তু মূল্যবোধ? সে তো আর বদলাইনি। সেই সনাতন মূল্যবোধগুলো প্রত্যেকেরই মানা উচিত। অন্তত মনের বল বৃদ্ধির জন্য। এত করে বলি ও রে মা, পরিবারে থাকতে গেলে কিছু নিয়ম কানুন মানতে হয়, স্বামী সন্তান সংসারের মঙ্গলের জন্যই মানা দরকার। কিন্তু কে কার কথা শোনে!
বেশ কিছুদিন বাদে শিবু ফিরে এলো ডাক্তারি পাস করে। সবে ঢুকেছে প্র্যাকটিসে। এই তো সেদিন,জন্মদিন উপলক্ষে বাড়িতে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পার্টির আসরে সকলেই মদ খেয়ে নাকি মাতাল। যেন মদের ফোয়ারা চলল সারারাত। অথচ বাবা-মা'র সে বিষয়ে কিছু বলার অধিকার নেই। যা করে সে নিজের মর্জি মতো। মেয়ের কাছ থেকে শ্যামলী এই খবর পেয়ে শ্যামলকে বলে দেখেছো, "আমাদের ফুটফুটে সেই নাতির কি পরিণাম!"
অথচ যথার্থ মানুষ হবার যথেষ্ট গুণ ছিল ওর। মা-বাপের স্নেহ ভালোবাসা শাসন শিক্ষায় সে একজন আদর্শ মানুষ হয়ে উঠতে পারতো।"
"কেন তুমি কি বলছো, মানুষ হয়নি? তো ডাক্তার হলো কেমন করে?" শ্যামলীর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে প্রতিবাদ করে শ্যামল। উত্তরে শ্যামলী জানায়,
"হ্যাঁ মানুষ তো হয়েছে কিন্তু অর্থ উপার্জনকারী। যথার্থ মানবিক গুণ সম্পন্ন মানুষ নয়। উচ্চ ডিগ্রী থাকলেই কি আর মানুষ হয় গো! যার মধ্যে বাবা-মা'র প্রতি কিংবা অন্যান্য গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি নেই, নীতি-নৈতিকতা নেই, তাকে মানুষ বলি কি করে বলোতো?"
"কিন্তু জানো, ওরাই সমাজের শ্রেষ্ঠ নাগরিক। ওদের সেবাতেই মানুষ বেঁচে আছে।"
তা ঠিক কিন্তু যে পরিবারের আপনজনের মান্যতা দেয় না, সে বাইরের লোককে মানে কিসের জন্য?
আসলে সেখানে আছে টাকার গল্প আর আজ টাকাতেই মানুষের পরিচিতি হয়তো সেই কারণেই মানুষ ছুটছে টাকার পিছনে আর আমরা হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ পিছনের সারিতে।" শ্যামলীর কণ্ঠে যেন একটা বিষাদ ছুঁয়ে যায়।
আপন মনে বিড় বিড় করে শ্যামলী বলে, ঠিক আছে। আমরা না হয় পিছনের সারিতেই থাকলাম। তোমরা বিশ্বায়নের পায়ে পা রেখে এগিয়ে চলো। তোমাদের পায়ের সঙ্গে আমাদের পা মিলবে না কোনোদিন তবু ও যদি বেসামাল হয়ে পিছলে পড়ো, আমরা পেছন থেকে তোমাদের তুলে দাঁড় করানোর চেষ্টা করবো প্রাণপণে।
তাং ২৭-১২-২০২২
No comments:
Post a Comment
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.