75 Years of Independence Assessment and Review Written by Khushi Sarkar - Nabo Mukul

Latest

Bengali poem, Short story, essay and modern poems as education base

11 Sept 2022

75 Years of Independence Assessment and Review Written by Khushi Sarkar

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা

প্রবন্ধকার - খুশী সরকার

Assessment and Review of 75 years of Independence written by Khushi Sarkar

75 Years of Independence Assessment and Review Written by Essayist Khushi Sarkar

প্রবন্ধ :- স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি - খুশী সরকার

ভূমিকা:-

দীর্ঘ প্রায় ২০০ বছর ভারত ভূমি ইংরেজ শাসনের অধীনে পরাধীনতার নাগপাশে বন্দি ছিল।‌ শত শত সন্তানহারা জননীর অশ্রুসিক্ত শত সহস্র শহীদের আত্মদানে কেনা মহার্ঘ্য স্বাধীনতা অরুণ আলোকে উদ্ভাসিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট কিন্তু যে রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতা পেল সেই রক্তের প্রকৃত মূল্য আমরা পেলাম না। তাই আজ এই স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির পুণ্য লগ্নে তার মূল্যায়নের ক্ষণ উপস্থিত। যে স্বাধীনতা আমরা পেলাম তা এলো খন্ডিত হয়ে। দেশভাগে জন্ম নিল দুটি রাষ্ট্র - ভারত ও পাকিস্তান। ১৭৫৭ এর পর ইংরেজ শাসকের অন্যায় অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ভারতবাসীর মধ্যে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠলো সিপাহী বিদ্রোহে। পরবর্তী ১০০ বছরে ভারতীয়দের জীবনে আসে এক অভূতপূর্ব অধ্যায়,যা উনবিংশ শতাব্দীর রেনেসাঁ বা নবজাগরণ রূপে খ্যাত। যার ফলে ভারতীয় সাহিত্য সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে আসে নবচেতনার উত্তাল জোয়ার। এই নবচেতনা জন্ম দেয় দেশাত্মবোধের। এই স্বদেশচেতনাই ভারতবাসীকে দীক্ষিত করে মাতৃ মুক্তি মন্ত্রে,দেখায় স্বদেশভূমির মুক্তি আন্দোলনের পথ। ফলে ভারতবাসী হয় ইংরেজের দু'চোখের বিষ। ভারতবর্ষের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবার জন্য ইংরেজ সরকার চক্রান্ত করে বঙ্গভঙ্গের।

প্রাক-স্বাধীনতা পর্ব:-

কিন্তু জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদী আন্দোলনের জন্য ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ১২ই ডিসেম্বর নব অভিষিক্ত রাজা পঞ্চম জর্জ বঙ্গভঙ্গ রদের কথা ঘোষণা করেন কিন্তু দুঃখের বিষয় বঙ্গভঙ্গ রদ হলেও বঙ্গভঙ্গের মধ্যে হিন্দু মুসলিম এই দ্বিজাতি তত্ত্বে বিভেদের যে বীজ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল তারই ফলশ্রুতিতে প্রাক-স্বাধীনতা পর্বে হয় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা। ফলে বহু আকাঙ্খিত স্বাধীনতা আসে 'ভারত ও পাকিস্তান' এই খণ্ডীকরণের খড়গাঘাতে। তারপরের ইতিহাস লক্ষ লক্ষ ছিন্নমূল উদ্বাস্তু মানুষের অবিরল চোখের জলে ভেজা সিক্ত করুণ ইতিহাস।

স্বাধীনতার পূর্বাবস্থা:-

আমরা পেড়িয়ে এসেছি ৭৪ টি স্বাধীনতা দিবস। এই সময়ে আমরা স্বাধীন ও স্বাধিকারসম্পন্ন সত্তা প্রতিষ্ঠিত করেছি নানান পরিস্থিতিতে। কখনো হয়েছি বিভ্রান্ত, কখনো হয়েছি সাফল্যে উদ্বেল। সাম্প্রদায়িক ও জাতি দাঙ্গায় বারবার রক্তাক্ত হয়েছে আমার দেশ। বিপন্ন হয়েছে দেশের সংহতি। আঞ্চলিক ভাষা প্রীতি, সংকীর্ণ ধর্মচেতনা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, বিদেশী শক্তির প্ররোচনায় জাতীয় সংহতি হয়েছে বিপন্ন। দেশের প্রায় তিরিশ শতাংশ মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। আজও বহু শিশু শ্রমিকের জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। গর্ভবতী মা ও শিশুরা আজও ভোগে অপুষ্টিতে অথচ বিপরীতে বেড়ে চলেছে দুর্নীতিগ্রস্ত ধর্মীয় বিলাসব্যসন।

স্বাধীনতা লাভে দেশের উন্নতি:-

তবে উন্নতির গর্ব ও পরিকল্পনার তালিকাটাও আমাদের একেবারেই নগণ্য নয় ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি আমরা পরিচিত হই স্বাধীন সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা । খাদ্য উৎপাদনে এসেছে সবুজ বিপ্লব হয়েছে স্বয়ংবর। গড়ে উঠেছে বড় বড় কলকারখানা ভূমি সংস্কার ও গ্রাম উন্নয়নে বেধেছে জীবন যাত্রার মান সম্প্রসারণ ঘটেছে গ্রামীন ফোনের বৈদ্যুতিকি করনের সড়ক নির্মাণ, সাধারণ শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার। মহাকাশ গবেষণা ও শান্তির কাজে আণবিক শক্তির ব্যবহারে ভারত আজ পৃথিবীর অন্যতম অগ্রণী রাষ্ট্র।

স্বাধীনতায় সার্থকতা:-

সার্থকতার ক্ষেত্রেও ভারত আজ এগিয়ে বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রে ভারতের স্থান উজ্জ্বলতর রাষ্ট্র সমবায় জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন প্রভৃতি ক্ষেত্রে পেয়েছে সার্থকতা। দেশ আজ বিশ্ব আণবিক ক্লাবের সদস্য। বিভিন্ন খেলায় বিশ্বজয় করছে ভারত। কুমেরু অভিযানেও ভারত বিশ্বে স্মরণীয় হয়ে আছে। বিশ্ব বাণিজ্য ও শিল্প উৎপাদনে ভারতের উন্নতি নজর কাড়ে। সাফল্য এসেছে রপ্তানি বাণিজ্যেও।

স্বাধীন ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা:-

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঘটেছে কিছু পালাবদল। স্বাধীনতার কালে ১৯৪৭ এর পরে তৎকালীন স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য কাশ্মীরে ঘটে পাক আক্রমণ ১৯৫০ সালের রচিত হয় ভারতের সংবিধান ডঃ বি আর আম্বেদকরের নেতৃত্বে। নবগঠিত ভারত প্রজাতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ। ১৯৫৬ সালে পুনর্গঠিত হয় ভারতের ভাষাভিত্তিক রাজ্য। ১৯৬২তে প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীন আক্রমণ করে ভারত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ। ১৯৭৫ সালে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে সিকিমের প্রজাতন্ত্রে যোগদান, 1977 সালে প্রথম অকংগ্রেসী প্রতিষ্ঠিত হয় ষষ্ঠ সাধারণ নির্বাচনে মুরারি দেশাইয়ের নেতৃত্বে। ১৯৮০তে কেন্দ্রে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে পুনরায় কংগ্রেস ক্ষমতা পায়। ১৯ ৯৩ বিজেপির নেতৃত্বে করসেবকদের হাতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়, ১৯৯৬এ কেন্দ্রে পুনরায় কংগ্রেস পরাজিত হয়ে জোটশক্তি ১৩ দলের যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে।

অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন:-

স্বাধীন ভারতে প্রথম শতবার্ষিকী পরিকল্পনার কথা উল্লেখিত হয়। রেলপথের জাতীয়করণ, ১৯৫৩ সালে এয়ার লাইসেন্স জাতীয়করণ, ১৯৫৬তে জীবনবীমা জাতীয়করণ, ১৯৬৯ ব্যাংক জাতীয়করণ, কয়লাখনি জাতীয়করণ এবং ১৯৯৩এ আন্তর্জাতিক ডাঙ্কেল প্রস্তাব মেনে নেয় ভারত।

খেলাধুলায় সাফল্য:-

1972 সালের অলিম্পিকে প্রথম ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন কে.ডি.যাদব। শেরপা তেজিং নোরগে ১৯৫৩ সালে প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন। ১৯৮৩ তে কপিলদেবের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮০ তে ভারত হকিতে চ্যাম্পিয়ন এবং ১৯৯৬ তে লিয়েন্ডার পেজ আটলান্টা অলিম্পিকে টেনিসে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন।
সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান ক্ষেত্রেও ঘটেছে কিছু ঘটনা। ১৯৬৬ তে অনাবাসী ভারতীয় হরগোবিন্দ খুরানা চিকিৎসাশাস্ত্রে ও শারীরবিদ্যায় পুরস্কার পান। ১৯৭৫ সালে প্রথম ভারতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ 'আর্যভট্ট' মহাকাশের কক্ষপথে স্থাপিত হয়। ১৯৭৯ তে মাদার টেরিজা পান শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার। ১৯৮৩ তে পান চন্দ্রশেখর সুব্রহ্মনম পদার্থবিদ্যায় এবং ১৯৯২ চলচ্চিত্রে বিশিষ্ট অস্কার পুরস্কার পান সত্যজিৎ রায়। মীরাবাঈ চানু, সাইনা নেহাওয়াল বা মেরিকম দেশকে গর্বিত করেন খেলার আঙিনায়। সাইখম মীরাবাঈ চানু ২০২২শে বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে নতুন রেকর্ড গড়লেন। ভারতের প্রথম মহিলা ভারোত্তোলক হিসাবে ৪৯ কেজি বিভাগ থেকে ৮৮ কেজি ওজন তুললেন ও তাঁর হাত ধরেই প্রথম সোনা পেল ভারত।

স্বাধীন ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদ:-

যে স্বাধীনতার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূল হাতিয়ার ছিল একতা ও জাতীয়তাবোধ,সেই একতা ও জাতীয়তাবোধ আজ বিপন্ন। আঞ্চলিকতা, ধর্মীয় সংকীর্ণতা ও ভাষাগত বিভেদ অনৈক্যের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সম্পদ বন্টন ও প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার অভাবে দিকে দিকে বিচ্ছেদ বিচ্ছিন্নতার লেলিহান অগ্নিশিখা। আর্থিক নবনির্মাণের বাইরে শত সহস্র মানুষ এখনো নিরক্ষর, স্বাস্থ্যহীন, রুজিহীন এবং অপুষ্টিতে আক্রান্ত। সবচেয়ে জাতীয় সত্তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে স্বাধীনোত্তর কালে মানবিকতার অবক্ষয় এবং ক্ষয়রোগ ভ্রষ্টাচার। সরকারি অর্থের নয়ছয়, আর আর্থিক দুর্নীতি। রাষ্ট্রের চরম ক্ষমতাভোগী মানুষেরা কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত।

ইতিহাসের বিস্মরণ:-

আজও ঘটে চলেছে ভারতে বারংবার ভয়ংকর ঘটনা কিন্তু নির্লিপ্ত নির্দয় উদাসীনতায় মানুষ ছুটে চলেছে অনিয়ন্ত্রিত উন্মাদনায় ধ্বংসের দিকে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির মহোৎসব পালিত হচ্ছে কিন্তু দেশভাগ স্মরণের যে বার্তা নেওয়ার কথা ছিল তার বদলে শুরু হয়েছে সেই ইতিহাসের বিস্মৃতি ও কলূষায়ন উৎসব। স্বাধীনতার ৭৫ বছরের পূর্তি আজ শুধুমাত্র রাজনীতির ঢক্কানিনাদ ছাড়া আর কিছু নয়।

ধর্মনিরপেক্ষতার আসল অর্থ পরধর্ম সহিষ্ণুতা কিন্তু রাজনীতিতে আজ পরধর্মের ছিদ্রান্বেষণ করাই যেন রীতি ও রেয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতির জনক গান্ধীজীর ধর্মীয় ভাবনা আজ সুদূর দ্বীপে নির্বাসিত। 'আমরা','ওরা' রাজনীতিতে ধনী-দরিদ্রের ফারাক বিস্তর। রাজনীতিক গোষ্ঠীর অবাধ স্বাধীনতায় হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের স্বাধীনতা লব্ধ সব প্রাপ্তি আর স্বাধিকার। দেখা যাচ্ছে ভারতীয় গণতন্ত্রের শুরু ও শেষ একমাত্র ঐ নির্বাচনে। বাকি সময় নাগরিক স্বার্থ শিকেয় তোলা। টাকার আনুপাতিক হিসেবে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে তৃতীয় কিন্তু মানুষ আজও অর্ধাহারে অনাহারে রুজি রোজগারের তাগিদে পরিযায়ীর লম্বা লাইনে। দেশের স্বাধীনতার সময়ের শ্রেষ্ঠ মানুষরা চেয়েছিলেন, প্রত্যেক দেশবাসীর চোখের জল যেন মোছানো হয়। কিন্তু আজ ক্ষুধার নিরিখে বিশ্বের দেশগুলির পিছনের সারিতে ভারত। পুষ্টির অভাবে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হচ্ছে না সঠিক বৃদ্ধি।

ধর্মান্ধতা ও দুর্নীতি:-

সংবিধান রচয়িতাগণ ছেলেমেয়েদের শিক্ষা বিষয়ে বিশ্বাসী ছিলেন কিন্তু ৫০ বছর বাদে শিক্ষা হল সাংবিধানিক অধিকার। ২০২০ তে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের যাচ্ছিল সমস্ত ছেলেমেয়ে। কিন্তু করোনার কারণে ছেলেমেয়েদের বিপুল সংখ্যক আজ স্কুলছুট অথচ এই যুবশক্তিকে যথেষ্ট শিক্ষিত না করলে দেশের সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। ধর্মের ক্ষেত্রেও সংবিধানে নির্বিরোধ স্বাতন্ত্র্যের বিধান থাকলেও ঘটছে ধর্মে ধর্মে সংঘাত এবং হচ্ছে না সমদৃষ্টির প্রয়োগ। নারী, শিশু ,দলিত সংখ্যালঘু সবাই আজ বঞ্চনা-লাঞ্ছনার শিকার। অন্যদিকে খুদে নেতারাও অজস্র দুর্নীতিতে জড়িয়ে কুঁড়েঘর থেকে বানিয়ে ফেলছেন বিশাল অট্টালিকা।

উপসংহার:-

সতাই স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তি উৎসবে 'বন্দে মাতরম্' বলাটাও আজ যেন মনে হয় নিজেরই অপমান। অস্তিত্ব সংকটে পতাকা তোলার সময় জয় হিন্দ বলতেও যেন বুক কাঁপে তবু সর্বোপরি বলতে পারি, আমরা আশাবাদী ভারতের চতুর্দিকে যে সামগ্রিক সংকটাপণ্ন্ন অবস্থা তৈরি হয়েছে তা থেকে ভারত একদিন মুক্তি পাবেই। মহান ভারত আবার হবে গণতন্ত্রে দৃঢ়মূল। অর্থনৈতিক সামাজিক ও শাসনতান্ত্রিক স্বাধীনতা অর্জনে আমরা স্বাবলম্বী হবো অবশ্যই। সাম্য মৈত্রী ও সৌভ্রাতৃত্বে ফিরিয়ে আনতে হবে সেই একতা ও জাতীয়তাবোধ। সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার অংশীদার হয়ে ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় "ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।

সমাপ্ত

স্বত্ত সংরক্ষিত – শিক্ষিকা খুশী সরকার
১১.০৯.২০২২.

No comments:

Post a Comment

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.