Madhuri Korecho Dan Short Story by Khushi Sarkar
Name of Story - Madhuri Karecho Dan,
Category - Bengali Short Story,
Author - Khushi Sarkar,
Khushi Sarkar has written a documentary Short Story Madhuri Korecho Dan.
ছোটগল্প - মাধুরী করেছো দান
কলমে - খুশী সরকার
দীর্ঘদিন পর ফুরফুরে হাওয়া বইছে আজ মনের ভেতর। অন্ততঃ ভর্তি হতে তো পেরেছি, এটাই বা কম কিসে? মনের আকাশে জমে থাকা বাদল মেঘগুলো আসতে আসতে উড়ে যাচ্ছে বাতাসে। দিগন্তে রক্তিম রাগে উঁকি দিচ্ছে রবি। আবার হঠাৎ থেমে গেল বাতাস। মেঘ জমছে আবার। অচেনা অজানা জায়গায় এসে বাসা ভাড়া নিলাম। এই প্রথম পা রাখা বাইরে। মনে মনে ভাবলাম, একজন বন্ধু হলে ভালো হতো কিন্তু বন্ধুত্ব করবোই বা কার সাথে?
তবুও মনের মধ্যে একটা প্রশান্তির শীতলতা যেন অনুভব করলাম। প্রথমদিন দুরুদুরু বুকে গেলাম কলেজে। অচেনা মুখ চারদিকে। ক্রমশ যেন গুটিয়ে যাচ্ছি, এমন সময় মন বললো,"এগিয়ে যাও, পিছনে তাকিও না।" মনকে অনুসরণ করলাম। জীবনে প্রথম ক্লাস অচেনা মুখের ভিড়ে। কেমন যেন অস্বস্তি অনুভব করছি হঠাৎ একটি অচেনা মুখ এগিয়ে এলো সামনে।
অত্যন্ত সাবলীলভাবে আন্তরিকতার হাসি নিয়ে জিজ্ঞেস করল, "তোর নাম কি রে?" তার জানবার সাবলীলতায় যেন অনেকটা সাহস পেলাম খুঁজে। বললাম,"দীপা সরকার"
বাঃ সুন্দর নাম তো তোর ?"
আত্মপ্রসংশায় লজ্জিত হয়ে সংকুচিত হলাম। আবার প্রশ্ন, "কোথায় থাকিস"
দেবীনগর,সুধা নার্সিং হোমের পাশে।
"আরে,আমিও ওখানেই থাকি"
"কার বাড়িতে থাকিস, বলতো?"
"ওই যে শশাঙ্ক মোহন সরকারের বাড়ি, আবগারি ডিপারমেন্টে ভদ্রলোক চাকরি করেন।"
ও-ও তাই!
"ওই বাড়িটার পাশেই তো আমি এক মাস্টার মশাইয়ের বাড়ি থাকি।"
"তাই নাকি?"
"হ্যাঁ রে। জানিস মাস্টারমশাই কেমন হওয়া উচিত, উনাকে দেখলেই বুঝতে পারবি।"
"নাম কি রে?"
"প্রমথ নাথ বর্মণ।"
"আর একটা বিষয় আছে"
"কী?"
উনি অত্যন্ত সাত্ত্বিক মানুষ। নিরামিষভোজী। শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের শিষ্য। শুধু তাই নয় ঋত্বিক।
"আরিব্বাস, এতকিছু !"তোর কথা শুনে তো আমার এখনই দেখতে ইচ্ছে করছে ভদ্রলোককে। লোভ হচ্ছে একটু সাক্ষাৎ করার।
"তাই? তাহলে বিকেলে আয়,দেখা হয়ে যাবে। আর তোর সঙ্গে আলাপও করিয়ে দেবো।"
মনে মনে ভাবলাম,হয়তো এটা তাঁরই ইচ্ছে। যে অচেনা অজানা অকূল পাথারে পড়ে গেছিলাম আস্তে আস্তে কুয়াশা সরে যেন তার কূল দেখতে পাচ্ছি। হৃদয়ে অনুভব করলাম যেন একটা শীতল প্রশান্তি, আমার সারা শরীর মন বেয়ে যেন ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে----
দেখা করার জন্য মনটা ক্রমশই উসখুস করছিল। উচাটন দৃষ্টি এতক্ষণ ঘড়ির কাটায় আটকে ছিল। তারপর হঠাৎ ঢং ঢং করে বেজে উঠল, ঘড়ির কাটা ঠিক বিকেল চারটায়। বিনয়কে ডাক দিতেই বিনয় দরজা খুলে বেরিয়ে এলো এবং ঘরে আমাকে বসিয়ে বেরিয়ে গেল আবার ঘর থেকে। আমার সারা গায়ে চোখেমুখে জড়তা মেখে ক্রমশ গুটিয়ে যাচ্ছি নিজের মধ্যে। প্রাণপণ চেষ্টা করছি নিজেকে ঠিক রাখার কিন্তু না, সাপের মতো গর্তে ঢুকে পড়ছি ক্রমশঃ। হঠাৎ দরজায় দেখি মাস্টারমশাইকে নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে বিনয়।"
বিনয় আমার দিকে তাকিয়ে মাস্টার মশাইকে বলে, "দাদা, এই যে আমার বান্ধবী দীপা। আপনার সঙ্গে আলাপ করতে চায়।"
মাস্টারমশাই মুখে হাসি নিয়ে মৃদুস্বরে বললেন,
"ও-ও, তাই? বেশ তো। তুমি বিনয়ের সঙ্গে পড়াশোনা করো?"
হ্যাঁ, মাষ্টারমশাই। আমি মাস্টারমশাইকে আপাদমস্তক একবার দেখে নিয়েই ভাবছি,বিনয় মিথ্যে বলেনি। সাদা ধবধবে ধুতি পাঞ্জাবি পরা নিপাট ভদ্রলোক। চোখ থেকে একটা স্নিগ্ধ দৃষ্টি ঠিকরে বের হচ্ছে। মুখে হাসি। প্রগাঢ় জ্ঞানের বিনম্র জ্যোতি বিদ্যুৎ রেখায় ফুটে বেরুচ্ছে কথার মাঝে। সম্বিত ফিরল উনার কথায়।
মুখে হাসি নিয়ে মৃদু স্বরে বলল,
"খুব ভালো" পড়াশোনা মন দিয়ে করো। যদি কোনো অসুবিধা হয় এখানে চলে এসো। বলতে কোনোরকম দ্বিধা করবে না। এখানে অনেক ছেলেপেলে পড়তে আসে।"
"ঠিক আছে, তোমরা কথা বলো।" আমি আসি, বলতেই কে এসেছে, বিনয়? বলে সামনে এলেন মাস্টারমশাইয়ের স্ত্রী। অনুমান করেই বললাম, দিদি নিশ্চয়।
"তোমরা একসঙ্গে পড়ো?" দিদি জিজ্ঞেস করতেই মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম। একটু ইতস্তত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "দিদি, তোমরা অনুকুল ঠাকুরের দীক্ষিত?" কপালে চোখ তুলে দিয়ে বলল, তুমিও নাকি?"
"হ্যাঁ, মুচকি হেসে বললাম।"
ঘরে এসে সামান্য খেয়ে শুয়ে পড়লাম। আবেগে আর পড়ায় মন বসছিল না। সেদিন চোখে ঘুম এলো না কিছুতেই। শুধু চেয়ে থাকলাম ঠাকুরের মুখের দিকে। বললাম, হে প্রভু সত্যিই তুমি আছো। যে অন্ধকারে পা রেখেছিলাম অন্ধকারে তুমি আলো জ্বেলে দিলে। তুমিই আমার উদ্ধারকর্তা। আমাকে উদ্ধার করো। আমার ইচ্ছে পূরণ করো। আমার পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছে কিন্তু বাবার শক্তি-সামর্থ্য তেমন নেই, তুমি আমাকে পথ দেখাও।"
প্রায় নির্ঘুম কেটে গেল সেই রাত। পরদিন কলেজ গেলাম। আরো একটু জানাশোনা হল বন্ধুদের সঙ্গে। বিকেলে আবার এলাম দিদিদের বাড়ি। ক্রমশঃ ওদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম। জড়িয়ে পড়লাম আপন আত্মীয়ের সম্পর্কে। যে আত্মার বন্ধন আমি এতদিন আমার নিকটজনের কাছে পাইনি, সেই আত্মার নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজেকে ধন্য মনে করলাম। ধীরে ধীরে অকপটে বললাম সব দিদির কাছে, আমার ইচ্ছে বাসনা স-অ-ব। দিদি আমার আপন দিদি হয়ে উঠলো।
রক্তের থেকে হৃদয়ের সম্পর্ক বড়ো হলো, একদিন হঠাৎ দিদি বলল, "আমাকে দিদি বলিস,আর আমার বরকে বলিস মাস্টার মশাই,তা হবে না।
ও তোকে জামাইবাবু বলতে বলেছে।"
"মাস্টার মশাইকে ভয় করে গো।"
"ধুর বোকা, ভয় কিসের? ওর তো নিজের শ্যালিকা নেই তাই জামাইবাবু বলিস,ও ভীষণ খুশি হবে।"
ঠিক আছে উনি যদি খুশি হোন,তা-ই বলবো। তারপর থেকে সেই আপনত্বের সম্পর্ক হলো 'দিদি-জামাইবাবু।'
অত্যন্ত আর্থিক অনটনে কাটছিল আমার দিন। ক্ষমতা ছিল না বই কেনার। কোনোমতে একা রান্না করে কলেজের লাইব্রেরী থেকে বই নিয়ে পড়তাম। ছোটোবেলা থেকেই বইয়ের অভাবে অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে আমার। তাই সুযোগ সুবিধা মত জামাইবাবু আমার প্রয়োজন মতো সব বুঝিয়ে দিতেন সাবলীলভাবে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে। এমনকি যে যে বইয়ের অভাব ছিল আমার, তিনি নিজে তাঁর আলমারি থেকে সেই সব বই বের করে দিতেন আমাকে পড়ার জন্য।
দিনের পর দিন অকৃত্রিমভাবে আমার পড়াশোনায় সাহায্য করেছেন। একাদশ-দ্বাদশ থেকে এম.এ.এমনকি বি.এড.পর্যন্ত কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই এতোটুকু খারাপ আচরণ বা বিরক্তি কোনোটাই আমার সঙ্গে ব্যবহারে দেখান নি কখনো। এম.এ. বি.এড করার পর যখন চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছি এখানে সেখানে, অ্যাপ্লিকেশন করছি, তখনো তিনি আমার পাশে সামর্থ্যমত সাহায্য করে আমাকে উন্নতির পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন। কখনো অভিভাবকসুলভ শাসন করছেন,কখনো বন্ধুর মতো অতি গোপনীয় বিষয়ে সতর্ক করছেন, এমনকি জামাইবাবু হিসেবে কৌতুকও করছেন। আবার কখনো আমাকে দেখতে পেলেই 'ওলো সখি' বলে বৈষ্ণব পদাবলীর পদ আওড়াচ্ছেন অবলীলায় জামাইবাবু শ্যালিকার সম্পর্কে।
কখনো ভীষণ সিরিয়াস। ঠাকুরের বাণী বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সংসারকে শান্তির তীর্থক্ষেত্র রূপে গড়ে তোলার জন্য। চলার পথে কখন কিভাবে চলা উচিত, কেমন স্বামী-স্ত্রী সংসারকে পূত পবিত্র করতে পারে,সন্তানের পালন শাসন ও সুসন্তান লাভের উপায় সম্পর্কে নানা বিষয়ে জ্ঞান দান করছেন নিঃস্বার্থ ভাবে। সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে করলে যে কোনো কর্মেই সাফল্য আসতে বাধ্য---এই কথাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন নিজের ধর্ম, কর্ম ও আচরণে কখনো কখনো।
একদিন বিয়ের জন্য এক শিক্ষককে প্রস্তাব দিলেন। সেই শিক্ষকও ছিলেন জামাইবাবুর অনুগত ভক্ত। কিন্তু লোকে বলে,'জন্ম মৃত্যু বিয়ে/ তিন বিধাতা নিয়ে' হয়তো বিধাতার অনিচ্ছাতেই সেই শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয়নি আমার। কিন্তু জামাইবাবুর চেষ্টায় কোনো ত্রুটি ছিল না। বরং কষ্ট পেয়েছি তাঁর আন্তরিক চেষ্টা ব্যর্থ হওয়াতে।
আমার চাকরির ক্ষেত্রেও উনার অবদান যথেষ্ট। এম.এ.বি.এড এর এক বছরের মধ্যে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে একটা কল পেলাম। সেই সময় এস এস সি পরীক্ষা ছিল না। গাদা গাদা টাকা লেনদেন হতো গোপনে। তাছাড়াও পরিচিতি লেভেল থাকতে হতো বেশ শক্তপোক্ত, কিন্তু আমার কোনোটাই ছিল না। সেই অভাবও পূরণ করেছেন তিনি। মূলত যোগাযোগ হয়েছিল তাঁর হাতেই। তাঁর দান নিতে নিতে একসময় বিবেক দংশন হতো। তাই শেষে দিদির ছেলেদের পড়িয়ে এবং দিদির অসুস্থতায় সাহায্য করে বিবেক দংশন থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছিলাম।
এইভাবেই চলতে লাগলো জামাইবাবুর তত্ত্বাবধানে আমার জীবনের পথচলা। বিপদে-আপদে, সুখে- দুখে, আনন্দে-বিষাদে জামাইবাবুর আশীর্বাদের হাত ছিল আমার মাথায়।
জামাইবাবু অবসর নিলেন চাকরি থেকে। তবু কমলো না তাঁর পরোপকারিতা। বরং বেশী করে মানুষকে সত্য পথে চলার যাজনে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
পুজোর আগে একদিন হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো। রিপোর্টে জানা গেল মাইল্ড ব্রেন স্ট্রোক। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেন। কিন্তু ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, সাবধানে থাকতে কারণ প্রথমবারের পর দ্বিতীয়বার হবার চান্স থাকে। ততদিনে জামাইবাবুর ছোটো ছেলে ডাক্তার হয়েছে।
সে কলকাতায় থাকে। তার ইচ্ছে হল দ্বিতীয়বার ব্রেনস্ট্রোক যাতে না হয় তারজন্য কলকাতায় ভালো ডাক্তার দেখিয়ে রোগটাকে নির্মূল করা। তাই বাড়ির সকলের মতে নিয়ে গেল কলকাতায়। সুস্থ মানুষ জামাইবাবু নিজে হেঁটে গিয়ে গাড়িতে উঠলেন হাসিমুখে এবং দিদিকে বলে গেলেন ডাক্তার দেখিয়ে চলে আসবেন দু/চার দিনের মধ্যে।
দিদিও হাসিমুখেই বললেন,"ডাক্তার দেখিয়েই
চলে এসো,তুমি না থাকলে আমার ভালো লাগে না।"
তিনদিন পর ডাক্তারের কথামতো জামাইবাবুকে ভর্তি করানো হলো হাসপাতালে,একটা ছোট্ট অপারেশন করলেই ব্রেনস্ট্রোক আর হওয়ার চান্স থাকবে না,তাই। অপারেশনের আগের দিন দিদির সঙ্গে কথা বলার জন্য ছটফট করছিলেন, কিন্তু মোবাইল এ্যালাও না থাকায় দিদির সঙ্গে কথা বলার সেই ইচ্ছে পূরণ হলো না। ছোটোছেলে বলল বাবা,আর মাত্র দুটো দিন। কাল অপারেশন হলেই পরের দিন ছেড়ে দিবে, একটা ছোট্ট অপারেশন।"
ঠিক আছে বাবা, বাড়ি গিয়েই তোর মায়ের সঙ্গে কথা বলবো।"
কিছুক্ষণ পরেই অপারেশন হল ছোটোছেলের সামনে। কিন্তু জ্ঞান আর ফিরলো না সারারাতেই। বাইরে সারারাত নির্ঘুম কাটালো, ছেলেরা উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠায়।পরদিন ডাক্তার দেখে জবাব দিলেন, "He is no more."
আকাশ ভেঙে পড়লো ছেলেদের মাথায়। বাকরুদ্ধ সবাই। ঠিক করে বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। ফোনে সেই মর্মান্তিক খবর পেয়ে অন্ধকারে ঢেকে গেল আমার আলোকিত আকাশ।
মর্মাহত প্রাণ শুধু অবিশ্বাস- প্রাচীরের চারপাশে ঘুরে মরলো সেই দিন রাত।পরের দিন সন্ধ্যার প্রাক্কালে এসে পৌঁছালো জামাইবাবু হিমশীতল দেহে মাচায় শুয়ে। মুখের হাসি কালো পাথরের চাঁই। আমার বটবৃক্ষ যেন কঠিন ঝড়ের সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে মাচার উপর। কিন্তু অনুভবে তাঁর শীতল পরশ পেলাম আমার হৃদয়ে। সেই অনুভব যত দিন যাচ্ছে ততই যেন গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয়ে চেপে বসছে প্রতিক্ষণে,প্রতি পলে। তাঁর দান আমার জীবনের অনিন্দ্য মাধুরী। তাঁর দানের মাটিতেই আমার ফসলের প্রাচুর্য-পাহাড় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সেই চূড়া থেকেই নিত্য নিই বিচিত্র রূপে জামাইবাবুর দানের ঘ্রাণ।
রচনাকাল - ২৫/০৬/২০২২
No comments:
Post a Comment
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.