‘হে মহান শিক্ষক’ কবিতাটি লিখেছেন কবি খুশী সরকার।
Hay Mahan Shikshak Modern Poem by Khushi Sarkar.
Substance of Poetry: (হে মহান শিক্ষক) There is no sacred responsible task like teacher. Today, it has changed over time with the seriousness of the teacher's teaching in the Guru's house, which used to be the medium of instruction and skill in the development of genius qualities. As a result, the systematic system of education is changed, but the teacher's duty is not reduced.
Although education took place, politics penetration. Teachers are being humiliated constantly in the system of unjust education, but teachers should work for great responsibility in order to overcome the darkness of ignorance of society. That is why, he is worthy of being called the backbone of society or the making of a man.
কবিতার মর্মবাণীঃ- শিক্ষকতার মত পবিত্র দায়িত্ব পূর্ণ কাজ আর নেই। গুরুগৃহের শিক্ষাদানে গুরু শিষ্যের সহজাত গুণাবলীর বিকাশে যে সযত্ন ও সস্নেহকে হাতে কলমের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন, আজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে শিক্ষনের পদ্ধতিগত প্রয়োগবিধিও পরিবর্তিত ঠিকই কিন্তু তাতে শিক্ষকের দায়িত্বপূর্ণ কাজ কিছু কমে না। যদিও শিক্ষাঙ্গনে ঘটেছে রাজনীতির অনুপ্রবেশ, নীতিহীন শিক্ষাব্যবস্থায় নিত্য হচ্ছে শিক্ষক অপমানিত তবুও মহান দায়িত্ব পূর্ণ শিক্ষকতার কাজ শিক্ষককে করে যেতে হবে সমাজের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করার জন্য। তবেই তিনি সমাজের মেরুদন্ড বা মানুষ তৈরীর কারিগর হিসেবে অভিহিত হওয়ার যোগ্য।
হে মহান শিক্ষক
খুশী সরকার
দেখেছি তোমায় অন্তেবাসী প্রাঙ্গণে প্রাণপণ
প্রযত্নে করেছো জ্ঞানের আলো দান।
আদর্শানুগ জীবনের সান্নিধ্যে জেগেছে কোমল প্রাণ।
মনের কোণে সুপ্ত গুণের জাগরণে কর্মতৎপরতার উল্লাস।
শিক্ষকতার মতো দায়িত্বভরা কাজ আর নেই।
সেই মহান কাজে ব্রতী তুমি, হে মহান শিক্ষক।
শিশুর সহজাত সংস্কারের ঝোঁকটি বুঝে
সহজ পথের ভেতর দিয়ে বুঝিয়ে
শিক্ষাকে তুমি এমনভাবে আপন-করা বুকের টানে
সেবা সহানুভূতির স্বচ্ছ অনুরাগে দাও গেঁথে,
যাতে ওই কচি শিশুমন তোমাতে শ্রদ্ধাশীল,
নতশিরে শেখার টানে লোভাতুর মুগ্ধ নেশায়,
শিক্ষাকে কখনোই বোঝাস্বরূপ না বোঝে।
তার সন্ধিৎসা মনটি জাগিয়ে দাও যাতে
সর্বকর্মে উৎফুল্লতায় নিপুন মনুষ্যত্বে হয় উত্তীর্ণ।
জাগে কর্মোদ্দীপনা, করে অজ্ঞানতার দরজা উন্মোচন।
শোনায়-করায় হাতে-কলমে সঠিক শিক্ষায়,
অন্ধকারের সংকীর্ণতার বেড়া ভেঙে,
অভ্যাস ব্যবহারের সহজ জ্ঞানে লভে প্রকৃত শিক্ষা।
তবেই তোমার আদর্শমুখী শিক্ষায় জ্বলবে জ্ঞানের প্রদীপ।
শিক্ষাঙ্গনে আজ রাজনীতির সর্পিল পদচারণা
শিক্ষাকে করছে কলুষিত, শিক্ষকের মান ভূলুণ্ঠিত।
অপমানে, হেনস্থায় জাতির মেরুদন্ড আজ ভগ্নপ্রায়,
অমর্যাদায় ধুঁকছে শিক্ষকের আদর্শমুখী চেতনা।
তবুও তুমি ক্ষমাশীল, মানুষ গড়ার কারিগর।
ভুলো না তোমার সবার সেরা দায়িত্বপূর্ণ কাজের কথা,
তুমি বলিষ্ঠ আত্মাচার-আচরণ ও সংযমী ব্যবহারে
প্রতিপন্ন করো কর্তব্যবোধের নিষ্ঠা।
এগিয়ে চলো, হে কান্ডারী, নিয়েছো যে মহাভার।
আত্মগর্বে উদ্বোধন করো দৃঢ়প্রত্যয়ী চেতনার।
তোমার সৌরভে ভরুক কচিপ্রাণ, হাত ধরো,
জ্ঞানের আলোকে করো ভীরুতার অবসান।।
প্রকাশকাল- ২২.১০.২০১৮
No comments:
Post a Comment