Bengali Poem Phire Eso Abar – 2015 Written By Khushi Sarkar Now Read Online.
Introduction:
The self-centered people is becoming very selfish in modern civilization. They are separated from others and building the skeptical mind confined within the narrow bounds.The Poet's Rabindra nath Tagor said in Sobhytar sonkot ('crisis of civilization'), " losing faith in the people is sin, but now it has become impossible to keep the people's faith. The selfish people engaged in false evil being, only for to fulfill the needs. In this situation the only way of painful people guessing and ideal life of Poet .In this poem to reborn to show the highest ideal of human,
ভুমিকাঃ
বর্তমান সভ্যতায় ব্যক্তি কেন্দ্রিক মানুষ ক্রমশ হয়ে উঠছে স্বার্থপর। সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরছে এবং গড়ে তুলছে অবিশ্বাসী মন। বিশ্বকবি তাঁর ‘সভ্যতার সঙ্কট’ নামক প্রবন্ধে বলেছেন, ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ’ অথচ বর্তমানে সেই মানুষের প্রতি বিশ্বাস রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্বার্থপর মানুষ চাহিদা পুরনে কেবলই অসত্য অন্যায় কাজে প্রবৃত্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় জীবনী যন্ত্রনায় আর্ত মানুষ্বের একমাত্র অবলম্বন কবির আদর্শ এবং মনন। তাই কবিতায় মানব প্রীতির আদর্শ দেখাতে আবার নবরূপে নবজন্ম নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Bengali poem of khushi sarkar Phire Eso Abar – 2015।
ফিরে এসো আবার
খুশী সরকার
আবার এসো হে কবি আবার এসো ফিরে
নবজন্ম লভি মানবের মনে
ঘোর আঁধার ব্যাপ্ত আজ মনের কোনে
হিংসা প্রতিহিংসা জনে জনে।
ঋষির চোখে দেখেছিলে যাদের মনের কল্পনায়
তারা বাস্তব রক্তমাংসে গড়া।
’মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ’ বলে
চেয়েছিলে মানবপ্রীতিতে ভরুক ধরা।
তোমার সে বানী কবি মিথ্যা করেছে যারা।
তাদের সত্যবানী বোঝাতে আবার
মানুষই মানুষের বন্ধু জীবনে মরনে চিরদিন
বুঝিয়ে দাও জন্মিয়া পুনর্বার।
শরতের শিশিরে ভেজা ঘাসে ঘাসে জ্বলে
মুক্তোর মত তব সৃষ্টিরা
অঘ্রানের পাকা ফসলে ভরা মাঠের ঘ্রাণে।
তোমার গান গায় পথিকেরা।
তবু অন্তরে অন্তরে মিশে স্বার্থ মাদক নেশা
পথ ভুলে বিপথে গমন।
ঘূর্ণিঝড়ের মতো কেবলই পাক্ খেয়ে মরে
বিজনে নিক্ষেপিছে আদর্শ মনন।
নীতিহীন অনাদর্শ অন্যায় অসত্য পাপাচার
জীবনের মুল লক্ষ্য মেনে,
কুমোরের চাকার মতো টাকার পিছনে ঘোরে
অর্থ পিশাচের দল প্রেমহীন জীবনে।
সত্যের প্রদীপ নিভে গেছে আজ হেথা
দিশাহীন মানবের আর্ত হাহাকার,
অবিশ্বাসের ধোঁয়াশা চোখে তাকায় জনে জনে
জীবনের পরিনাম অজানা সবার।
তুমি এসে হাত ধরো হে কাণ্ডারী
টলমল করে ঐ জীবন-তরণী।
মানবের আঁধার চোখে আদর্শ আলোক জ্বেলে
মুছে দাও যত পঙ্কিল গ্লানি।
তুমি নইলে কবি কে ফিরাবে আর?
অরন্যের পথে দলেদলে।
ফিরাতে তাদের এসো আবার নবজন্ম লভি।
বাঁচাও মানবে মনুষ্যত্ব বলে।
সমাপ্ত।
রচনাকালঃ ২৫শে বৈশাখ,১৪২২।
No comments:
Post a Comment