Bhuture Bari Short Story Written by Khushi Sarkar - Nabo Mukul

Latest

Bengali poem, Short story, essay and modern poems as education base

4 Aug 2021

Bhuture Bari Short Story Written by Khushi Sarkar

ভুতুরে বাড়ি গল্পটি লিখেছেন খুশী সরকার।



হন্তদন্ত হয়ে ছুটে ঘরে ঢুকেই বাণীকে বলে, আজ রাত বারোটা চল্লিশে আমার ট্রেন। আমার জিনিসপত্র গুছিয়ে দাও। বানী জিজ্ঞেস করে,আজকেই?

---- কাল‌ই Join। সময়মতো পৌঁছাতে না পারলে অসুবিধায় পড়বো।

---- কোথায় থাকবে ঠিক করেছো?

---- এক বন্ধু ওই স্কুলেই আছে। ও-উ ভাড়া করে থাকে। ওর ভাড়া বাড়ির পাশে একটা ফাঁকা বাড়ি পাওয়া গেছে।

আগামীকাল জয়েন করে ওই বাড়িতেই থাকবো। পরে সব গুছিয়ে তোমাকে নিয়ে যাবো।

---তাহলে তোমার বন্ধুকে ফোন করে দাও।

---হ্যাঁ, ঠিক বলেছো। দাও তো মোবাইলটা।

---হ্যালো, সিতেন, তুই সুন্দরপুরে আছিস তো?

---আছি, কেন রে?

--- আগামীকাল তোর কাছে যাচ্ছি। তোর স্কুলেই আমার জয়েনিং আছে। আচ্ছা শোন, তুই যে বাড়িটার কথা বলেছিলি সেটা আছে তো?

--হ্যাঁ আছে।

---ঠিক আছে, কাল আসছি।

পরেরদিন সাড়ে আটটায় সিতেন সুন্দরপুরে শঙ্করের কাছে পৌঁছায়। তালা খুলে ঘরে দুজনেই ঢুকে। সিতেন দেখে ঘরে একটা চৌকি, চৌকির উপরে বিছানা। সেখানে ব্যাগ রেখে সিতেন যায় বাথরুমে হাত মুখ ধুতে। অবাক হয়ে দেখে বাথরুম ভেজা। অথচ বাড়িতে লোক নেই। সিতেন ব্যস্ততায় শংকরের সঙ্গে চলে যায় স্কুলে। সারাদিন পর ফিরে সন্ধ্যায়।

সারাদিন উদ্বিগ্নের পর ক্লান্তিতে শুয়ে পড়ে।

হঠাৎ মাঝ রাতে এক বিকট চিৎকারে সিতেন চমকে ওঠে। ধড়ফড় করে উঠে বসে। সামনে তাকাতেই দেখে সিলিং থেকে কে যেন ঝুলছে। নাক মুখ ঢাকা কালো কাপড়ে। দৃশ্যটায় সিতেন ভীষণ ভয়ে কাঁপতে থাকে। মোবাইলের ফ্লাশ লাইটটা জ্বালতেই দেখে কেউ নেই, ফাঁকা ঘর।

তারপরই কেমন যেন একটা শোঁ শোঁ গোঁ গোঁ আওয়াজ। প্রবল ঝড়ে দরজা জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুত চমকাচ্ছে এবং বিদ্যুতের সেই আলোতে দেখতে পায় খোলা দরজার ওপারে একজন হাঁটছে। কে কে বলতেই লোকটি অদৃশ্য হয়ে যায়। হঠাৎ যেন মনে হয় তার ঘুমের ঘোরে সে হয়তো স্বপ্ন দেখছে। ওই সময় ঘরের দেওয়ালে টাঙানো ছবিটা পড়ে ভেঙে চুরমার। চোখের পলকে দেখে টুকরো কাচগুলো জোড়া লেগে ছবিটা আবার উড়ে গিয়ে দেয়ালে আটকে যায়। এইবার সিতেনের শরীর শীতের রাতেও তরতর করে ঘামতে থাকে, কান দিয়ে বের হয় গরম হাওয়া। কি করবে না বুঝেই ধপাস করে শুয়ে পড়ে বিছানায় চিত হয়ে। মুহূর্তেই বুকের উপর বসে অদৃশ্য একজন। সরানোর চেষ্টা করলেও হাত পা নড়ছে না, শরীর অবশ, হিমশীতল রক্ত মাথা থেকে পায়ের দিকে নেমে যাচ্ছে ক্রমশঃ। সকালে শংকর গিয়ে দেখে অচৈতন্য অবস্থায় সিতেন শুয়ে আছে।ত্রস্ত হয়ে চোখেমুখে জল দিয়ে সুস্থ করে।

কলমে--খুশী সরকার

তাং--০৫-০৪-২০২১


No comments:

Post a Comment

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.