The Sadhak Kabi Nazrul Bengali Poem Written by Khushi Sarkar.
Name of poem - Sadhak Kabi Nazrul.
Language- Bengali.
Origin of Poetry (Sadhak Kabi Nazrul):
Although Kazi Nazrul Islam is better known as a rebellious poet in Bengali literature, he is not only a rebellious poet, he is also a Sufi saint. He became known as a rebellious poet because of his rebellious voice against the injustice, oppression and inequality of the British rulers in British India. He has seen that among the people, he has engaged himself in the worship of God, the eternal beauty, in the creation of poetry. The ideals of Vidyapati, Chandidas, Meera, Nanak etc. are found in his poetry. In a society of casteless equality, man is God or Allah. According to him, God is one, unique. He has been in the pursuit of this God in human beings all his life.
কবিতার নাম সাধক কবি নজরুল।
কলমে কবি খুশী সরকার।
কবিতারমূলভাব: বাংলাসাহিত্যে কাজি নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবি রূপে অধিক পরিচিত হলেও তিনি শুধু বিদ্রোহী কবিই নন, তিনি সুফি সাধকও। ব্রিটিশভারতে ইংরেজ শাসকের অন্যায়,অত্যাচার ও অসাম্যের বিরুদ্ধে তাঁর বিদ্রোহী সত্ত্বা গর্জে ওঠার ফলে তিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন কিন্তু এটায় শেষ কথা নয়, তিনি প্রেমের পূজারী, যৌবনের কবি,মহাজন সুফি সাধক। তিনি দেখেছেন মানুষের মধ্যে ভগবান, চিরসুন্দরের আরাধনায় নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন কাব্য সৃজনে। তাঁর কাব্যে মিলেছে বিদ্যাপতি,চণ্ডিদাস, মীরা,নানক প্রমুখের আদর্শ। জাতপাতহীন সাম্যের সমাজে মানুষই ঈশ্বর বা ভগবান বা আল্লা। তাঁর মতে ঈশ্বর এক, অদ্বিতীয়। মানুষের মধ্যে তিনি এই ঈশ্বরের সাধনায় করেছেন সারাজীবন।
রচনাকাল তাং- ২৪-০৫-২০২০।
Name of poem - Sadhak Kabi Nazrul.
Language- Bengali.
Origin of Poetry (Sadhak Kabi Nazrul):
Although Kazi Nazrul Islam is better known as a rebellious poet in Bengali literature, he is not only a rebellious poet, he is also a Sufi saint. He became known as a rebellious poet because of his rebellious voice against the injustice, oppression and inequality of the British rulers in British India. He has seen that among the people, he has engaged himself in the worship of God, the eternal beauty, in the creation of poetry. The ideals of Vidyapati, Chandidas, Meera, Nanak etc. are found in his poetry. In a society of casteless equality, man is God or Allah. According to him, God is one, unique. He has been in the pursuit of this God in human beings all his life.
কবিতার নাম সাধক কবি নজরুল।
কলমে কবি খুশী সরকার।
কবিতারমূলভাব: বাংলাসাহিত্যে কাজি নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবি রূপে অধিক পরিচিত হলেও তিনি শুধু বিদ্রোহী কবিই নন, তিনি সুফি সাধকও। ব্রিটিশভারতে ইংরেজ শাসকের অন্যায়,অত্যাচার ও অসাম্যের বিরুদ্ধে তাঁর বিদ্রোহী সত্ত্বা গর্জে ওঠার ফলে তিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন কিন্তু এটায় শেষ কথা নয়, তিনি প্রেমের পূজারী, যৌবনের কবি,মহাজন সুফি সাধক। তিনি দেখেছেন মানুষের মধ্যে ভগবান, চিরসুন্দরের আরাধনায় নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন কাব্য সৃজনে। তাঁর কাব্যে মিলেছে বিদ্যাপতি,চণ্ডিদাস, মীরা,নানক প্রমুখের আদর্শ। জাতপাতহীন সাম্যের সমাজে মানুষই ঈশ্বর বা ভগবান বা আল্লা। তাঁর মতে ঈশ্বর এক, অদ্বিতীয়। মানুষের মধ্যে তিনি এই ঈশ্বরের সাধনায় করেছেন সারাজীবন।
কবিতার নাম সাধক কবি নজরুল
কলমে কবি খুশী সরকার
কলমে কবি খুশী সরকার
তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী, হে বিদ্রোহী কবি
কাব্যে কালবৈশাখীর ঝড় দুর্বার,
কবিতায় চিরযৌবনের জয়ধ্বনি
বীণায় উত্তাল সুর ঝংকার।
কাব্যে কালবৈশাখীর ঝড় দুর্বার,
কবিতায় চিরযৌবনের জয়ধ্বনি
বীণায় উত্তাল সুর ঝংকার।
যৌবনের শোণিত ধারা শুধু নয়
রোপিত সংগীতে সুফি সাধনা,
কাব্য কবিতায় উপনিষদের বাণী
আছে নিষ্কাম তত্ত্বের কর্ম ভাবনা।
রোপিত সংগীতে সুফি সাধনা,
কাব্য কবিতায় উপনিষদের বাণী
আছে নিষ্কাম তত্ত্বের কর্ম ভাবনা।
তুমি সুফিসাধক মহাজন কবি
তুমি কবীর, পল্টু সাহেব, রবিদাস,
মীরা, নানক, বিদ্যাপতি, গোবিন্দ তুমি
বৈষ্ণবরস সাধনায় তুমি চন্ডী, তুলসীদাস।
তুমি ভক্তিবাদী নজরুল, ব্রহ্মের উপাসক
গীতার বাণীই ভিন্ন রূপে কবিতায়,
গতির তীব্রতায় চিত্ত চঞ্চল তোমার
বিশ্বকবির গতিবাদ তোমাতে অভিন্নতায়।
নিজ আত্মার দর্শন পরমাত্মায়
তারই অন্বেষণ পৃথিবীর জড়-জীবে,
এনেছো জীবনে বেগের উল্লাস
ঠাঁই তার শ্রমজীব,কৃষিজীবে।
পরাধীনতার নাগপাশ মুক্তিতে যখন
শঙ্কিত যুবশক্তির অলস যাপন,
আহবানে গাইলে চল্ চল্ চল্,
সেই গতিবাদেই ভক্তির অঞ্জলি
রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ, রাধাকৃষ্ণ, বল্।
তুমি মানবের মাঝে দেখেছো দেবতায়
জাতপাতের কুসংস্কার বিষের সমান,
ছুঁড়ে ফেলেছো বিকৃত বিধির বিধান
সামাজিক জড়তায় বিধ্বংসী তুফান।
পদাবলী সাহিত্যে ভাব সাধনায় লীন
আছে সহজ-সরল প্রাণের কথা,
নিবেদিত তুমি পরমাত্মার কাছে
শ্যামা মাকে বলেছো অন্তরের ব্যথা।
শাক্ত সাধনায় তুমি সাধক কবি
বাৎসল্য প্রেম দিয়েছো ঢেলে,
কখনো ভয়ংকরী, কভু সর্বদুঃখনাশিনী
তুমি অভয়দাত্রী শ্যামা মায়ের ছেলে।
আজ অতিমারী, বিপর্যয়ে ঘন আঁধার
ছেয়ে গেছে আকাশ বাতাস কান্নায়,
প্রতিবাদ প্রতিরোধে চাই তোমাকে আবার
প্রণমি চরণে এই আকূতি জানাই।
রচনাকাল তাং- ২৪-০৫-২০২০।
খুব সুন্দর হয়েছে কবিতাটি।
ReplyDelete